পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
গাছে গাছে ছেয়ে গেছে আমের মুকুলে। ঘুরে ঘুরে মুকুলে বসছে মৌমাছি। মুকুলের ঘ্রাণ মুগ্ধ করছে প্রকৃতি প্রেমীদের। গাছের দিকে তাকালে চোখ ফেরানো যায় না। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে মুকুলের ঘ্রাণ।
সবুজ আর হলুদের যেন মহামিলন। পেকুয়া উপজেলার গ্রামগুলোতে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে হলুদ আমের মুকুল। মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ। তবে ছোট আকারের চেয়ে বড় ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল এসেছে।
আম চাষিরাও গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছে চাষিরা। চাষিদের বলা হচ্ছে ফুল ফোটা অবস্থায় কোনো কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য। তবে আমগাছে পোকা বেশি দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক ছিটানোর কথা বলা হয়েছে।
এবার মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আম বাগান। বাগানগুলোতে রয়েছে ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা, বারি-৪, বারি-৫, বারি-২ সহ নানা জাতের গাছ।
টইটং পাহাড়ি এলাকায় এবার আমের বাগান চোখে পড়ার মতো। জুঁকখোলা, গুদিকাটা, ছনখোলা, জুমপাড়া, চেপ্টামুরা, কেরনছড়ি, আলিম্মার ঝিরি, হাতিরডেরা, মৌলভী হাসানের জুমসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চেপ্টামুরায় বাঁশখালী পুঁইছড়ি এলাকার কাজল প্রায় ৫ একর জমিতে আমের চাষ করে আসছেন। বাগানে নানা জাতের গাছের স্থান পেয়েছে। চাষি ইউনুস, আবদুল্লাহ, আইয়ুব আলীও এবার বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছে।
তারা জানান, আমগাছে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। ভরে গেছে মুকুলে মুকুলে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ আমগাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারা আমের বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
আমচাষি জাহেদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমগাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষিরা ভাল ফলন ও লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
ইএইচ