জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
শরীয়তপুরের আবহাওয়ায় পেঁয়াজ একটি উচ্চ ফলনশীল ফসল। তবে স্থানীয় কৃষকদের দাবি গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজের ফলন কম হওয়ায় চড়াও দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এ চিত্রই মিলেছে।
দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও ডলার সংকটের কারণে এ বছর বিদেশ থেকে তুলনামূলক কম পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। এদিকে পেঁয়াজের বীজ ও সারের দাম এ বছর বাড়ায় তার প্রভাব পরেছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
গত বছর যেখানে এককেজি ডিএপি সার বিক্রি হতো ১৬ টাকায় সেখানে এ বছর পেঁয়াজ লাগানোর মৌসুমে তা বিক্রি হয়েছে ২১ টাকায়, ইউরিয়া বিক্রি হতো ২২ টাকায় তা এ বছর বিক্রি হয়েছে ২৭ টাকায় এবং এমওপি গত বছর প্রতি কেজি ছিল ১৫ টাকা যা বেড়ে এ বছর বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও শ্রমিক খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায়।
পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা নিয়ে কৃষক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, তিনি ২০ বিঘা জমিতে এ বছর পেঁয়াজ চাষ করেছে। এ বছর প্রতিবিঘায় ৪০-৪৫ মণ পেঁয়াজ পেয়েছেন। তার দাবি এ বছর পেঁয়াজ লাগানোর মৌসুমে বৃষ্টির সমস্যা না দেখা দিলে ৬০-৭০ মণ পেঁয়াজ পেতেন প্রতি বিঘায়।
কথা হয়েছে নুরুহক সরদার নামক এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি জানান, এলসি আসার খবরে পেঁয়াজের বাজার মুহূর্তে কমছে আবার কখনও ভিন্ন খবরে বেড়েছে পেঁয়াজের বাজার দর। গতকাল ১০৫ টাকা কেজি পাইকারি পেঁয়াজ থাকলে এলসি খুলেছে এই খবর সকালে বাজার দর তুলনামূলক কিছুটা কম। আজকে সকালে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-৯৫ টাকা পর্যন্ত।
এ নিয়ে কথা হলে জাজিরা মিরাশার চাষি বাজার কমিটির সভাপতি ও আড়ত ব্যবসায়ী আবদুল জলিল মাদবর জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন কম এবং ফলনও কম। গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন এবং ফলন দুইটাই বেশি ছিল।
শরীয়তপুর জেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার বিষ্ণুপদ বিস্যাসর জানায়, এ বছর জেলার তাদের পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪২৫ হেক্টর। তবে পেঁয়াজের চাষ তাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম হয়েছে। এ বছর জেলায় মোট পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৩৯০৭ হেক্টর জমিতে।
জাজিরায় মোট চাষ হয়েছে ২০১০ হেক্টর জমিতে। এ বছর জেলায় পেঁয়াজ চাষিদের সরকারিভাবে ৫২০ জন কৃষককে ১ কেজি করে পেঁয়াজের দানা, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ইএইচ