ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ওয়ার্কশপ কর্মচারী নাহিদ হাসান হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন প্রেস ব্রিফ্রিং এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,ঘাটাইল উপজেলার কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোহাগ (১৫), নিয়ামতপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (২০), কামারচালা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা (৩৩), নলমা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সালমান জাহান জান্নাত (২১) এবং জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তরুনীআটা গ্রামের ফজলুল হক। এ সময় লুণ্ঠিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
মূলত মোটরসাইকেলের জন্য তারা ওয়ার্কশপ কর্মচারীকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানায়৷
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইল উপজেলায় মনির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের ভিতর থেকে নাহিদ হাসান নামের এক ওয়ার্কশপ কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা একটি মোটরসাইকেল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়।
পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত সোহাগ যাত্রাবাড়ীর কদমতলী এলাকা থেকে রোরবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার তথ্যমতে অপর আসামি নাজমুলকে গোলাবাড়ি বাস স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজমুলের দেয়া তথ্য মতে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাদিজার দেয়া তথ্য মতে অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করি। সোহাগ লুণ্ঠিত মোটর সাইকেলের জন্য নাহিকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলার আসামি সোহাগ কথিত খালাতো ভাই ছিল নাহিদের। ঘটনার দিন তারা ওই ওয়ার্কশপের ওখান দিয়ে তাদের দেখা যায়।
তিনি আরো বলেন, সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, নাহিদ আমার খালাতো ভাই হয়। তার মূল পরিকল্পনা ছিল এই মোটরসাইকেল নিবে। পূর্ব পরিকল্পনাভাবে নাহিদকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই মোটরসাইকেল সরানোর জন্য সহযোগিতা করেছে সোহাগের মা খাদিজা। গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে৷
বিআরইউ