Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নীলফামারীতে কালভার্ট নির্মাণে কৃষকের ভাগ্যবদল

আল-আমিন, নীলফামারী

আল-আমিন, নীলফামারী

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম


নীলফামারীতে কালভার্ট নির্মাণে কৃষকের ভাগ্যবদল

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা বণিকপাড়া গ্রাম দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার মৌজা পাঙ্গা যাওয়া মাটির রাস্তার উপর নির্মিত একটি বক্স কালভার্ট ভাগ্য বদলে দিয়েছে। সেই সাথে দুই পারের হাজারো মানুষের গ্রামীণ জনপদে যোগাযোগের দারুণ এক ব্যবস্থা সূচিত হয়েছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ‘উপজেলা শহর (নন মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান ও প্রণয়ন মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (UTMIDP)’ এর অধীনে ৩৮ লক্ষ ৫ শত ৩২ টাকা ব্যয়ে কেবিসি কনন্সট্রাকশন লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শেষ করে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এই বক্স কালভার্টটি। এরপর থেকে এ কালভার্টটির সাথে যুক্ত হয়েছে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামের হাজারো মানুষের। এতে উপকারভোগী গ্রামগুলোর মানুষজন অনেক খুশি।

এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষায় বোরো ধান ও ভুট্টা মৌসুমে কাদা পানি ভরে থাকা খালের উপর নির্মিত এ কালভার্ট বদলে দিয়েছে ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা বণিকপাড়া, মাঝিয়ালির ডাঙ্গা, দক্ষিণ পাড়া ও আংশিক পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার মৌজা পাঙ্গা ইউনিয়নের পাঙ্গা গ্রামের সংযোগ রাস্তার পাশে বসবাসকারী মানুষের ভাগ্য।

কারণ কালভার্টটির উপকারভোগী এ অঞ্চলের মানুষের উপার্জনের প্রধান উৎস হলো কৃষি।

বালাপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহার আলী বলেন, মৌসুমের একাংশ কাঁদা-পানিতে ডুবে থাকতো এখানে একটি ব্রিজ বা কালভার্ট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় দুই ইউনিয়নের মানুষের কৃষি কাজ এবং স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হতো। বর্তমানে এই বক্স কালভার্টটি পাল্টে দিয়েছে এলাকার সব শ্রেণির মানুষের ভোগান্তি।

স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রবিউল ইসলাম বলেন, যেখানে প্রায় ৫/৬ মাসেই কাঁদা-পানি লেগে থাকতো সেখানে কালভার্ট নির্মাণের ফলে পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হলো। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সহজেই এই পথে যাতায়াত করতে পারছে এবং এলাকার মানুষের ভোগান্তি দূর হয়েছে।

মো. আছির উদ্দিন বলেন, আমাদের চাষাবাদের প্রায় সাতবিঘা আবাদি জমি বিস্তীর্ণভাবে আছে যা দেশ স্বাধীনের পর থেকে ১ ফসলি জমি হিসেবে ব্যবহার উপযোগী ছিল, কালভার্টটি নির্মাণ হওয়ার পর এখন থেকে একাধিক ফসল ফলিয়ে ভ্যান বা ট্রলি যোগে ঘরে তুলতে পারবো।

একজন কৃষক সালাম বলেন, বক্স কালভার্টটি নির্মাণের ফলে বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে কৃষি যন্ত্রপাতি (ট্রাক্টর, হারভেষ্টার) ফলানো ধান, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও পাট কেটে যানবাহন ব্যবস্থায় দুই পাড়ের মানুষের আনা নেয়াও অনেক সহজ হবে।

ইএইচ

Link copied!