গোসাইরহাট (শরীয়তপুর)
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম
গোসাইরহাট (শরীয়তপুর)
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম
এক বছর আগে জীবিকার তাগিদে শরীয়তপুর থেকে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন রাজন মাহমুদ। মালয়েশিয়ায় গাড়ি চাপায় প্রাণ হারিয়েছে এমন খবর পেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পরেছে পরিবারটি। নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মালয়েশিয়ায় রাজন মাহমুদ মৃত্যুবরণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তার পরিবার বিষয়টি জানতে পারেন।
নিহত রাজন মাহমুদ (২৫) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের চর লাউলানি গ্রামের জাহাঙ্গীর মৃধার ছোট ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়িতেই দুই একজন ব্যক্তি জীবিকার তাগিদে প্রবাস জীবনযাপন করেন। উন্নত জীবনের আশায় রাজন মাহমুদও প্রায় এক বছর আগে মা-বাবা, আত্মীয় স্বজন রেখে মালেশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন।
তিনি মালয়েশিয়ার চ্যারাস শহরে শ্রমিকের কাজ করতেন। সোমবার রাতে গাড়ি চাপায় পৃষ্ট হয় সে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখবর বাংলাদেশে তার পরিবার জানার পর থেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তাদের একটাই দাবি, রাজন মাহমুদের লাশ যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
রাজন মাহমুদের বাবা জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, আমার সোনার টুকরা ছেলেটা মালয়েশিয়ায় গাড়ি চাপায় মারা গেছে। এছাড়া আমি আর কিছুই জানি না। আমি আমার ছেলের লাশ দেশে আনতে চাই। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলের লাশ দেশে এনে দেয়।
ঘড়িসার ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আনসার মাঝি বলেন, নিহত রাজন মাহমুদের স্বজনরা এসেছিলেন পরিষদে। তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত রাজন মাহমুদের লাশ দেশে আনা হবে।
বিষয়টি নিয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, প্রবাসে কেউ মারা গেলে উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারের পাশে থাকে সবসময়। রাজন মাহমুদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতা করবে।
এইচআর