ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আইনের তোয়াক্কা না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকা, ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ভাটাগুলোর নেই কোন সরকারি অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এ সমস্ত ইটভাটাগুলো চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অবৈধ ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, গ্যাস ও ধুলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি অবৈধ ইনভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়ার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে মেসার্স ডব্লিউএএইস ব্রিকস ফিল্ড, এবি ব্রিকস, মেসার্স এমএসএইচ ব্রিকস, বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবশ এলাকায় সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের পাশে মেসার্স এএমবি, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের খামারের বাজার এলাকায় মেসার্স কেএমবি এবং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জকুরটল এলাকায় মেসার্স জেএমএস নামে ছয়টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
এসব ইটভাটার একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। পরিবেশ অধিদপ্তরে নামমাত্র আবেদন করে শুধু সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। শুধু তাই নয়, ইটভাটার আয়তন দুই একরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও বিস্তৃত এলাকা দখলে নিয়েছেন ভাঁটা মালিকরা। ভরাট করেছেন পানি নিষ্কাশনের পথ।
একাধিক কৃষক জানান, ভাটা মালিকরা জমি ভাড়া নিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ করছেন। এসব ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় গত ৫ বছর ধরে বোরো এবং আমন আবাদের ফলন বিঘাপ্রতি ৬-৭ মণ কমে এসেছে। ভাটার কালো ধোঁয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে এখানকার সুপারি বাগানের। ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় সুপারির ফলন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। তা ছাড়া আম, কাঁঠাল, নারিকেলসহ বিভিন্ন ফলের ফলনও কমে গেছে।
এছাড়াও কৃষকরা জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইট তৈরির মহোৎসব চলছে ভাটাগুলোতে।
একাধিক ভাটার মালিকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, হঠাৎ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই ভাটা চালাচ্ছি তবে আবেদন করা হয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ জানান, ছয়টি ইটভাটা রয়েছে যার একটিরও কাগজপত্র ঠিক নেই, কাগজপত্রগুলো যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের নিজস্ব কোন ম্যাজিস্ট্রেট নেই ডিসি অফিসের মাধ্যমে আমাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হয় তবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ইএইচ