Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪,

দৌলতপুর জোড়া খুন

মনগড়া প্রতিবেদন দেওয়ার প্রতিবাদে ওসির বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

মার্চ ৬, ২০২৪, ১২:২৪ পিএম


মনগড়া প্রতিবেদন দেওয়ার প্রতিবাদে ওসির বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
ছবি: আমার সংবাদ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় আদালতে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অভিযোগে দৌলতপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (৬ মার্চ) সকালে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভূরকা হাটখোলাপাড়া এলাকায় মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন এলাকাবাসী। এসময় ওই এলাকার পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

গেল বছরের ১৪ জুন বিকেলে গরু পাটক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায়  ভুরকা হাটখোলাপাড়া গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা (৪৩) ও ঘেতু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা (৪২) নামের দুই কৃষকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে চরাঞ্চলের এক সময়ের ত্রাস লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ডইন কমান্ড উজ্জ্বল সর্দারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।

পরে এঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ জন এজাহার নামীয় আসামিসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমাদেন। এতে মামলার বাদীপক্ষ না রাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথাকে  প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করেছিলাম। কিন্তু মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত না করে আসামি পক্ষের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান মামলার এজাহার থেকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ৮ জনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে মামলাটির অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। একারনে মামলাটিতে নেয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসানকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সাথে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এআরএস

Link copied!