Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪,

ভোলায় মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে আহত

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা প্রতিনিধি

মার্চ ৯, ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম


ভোলায় মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে আহত

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বুড়ির বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. রুহুল আমিনকে মসজিদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি বসু মীর ৫ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতেই বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ এ ঘটনায় বাবলু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মো. মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ভুক্তভোগী মাওলানা মো. রুহুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, আমি দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে এই মসজিদে ইমামতি করছি, শুরু থেকেই মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সিকদার ও তার ছেলে নুরনবী সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে ইমাম পদ থেকে সরানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র, হুমকি, ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার মসজিদে আমি জুমার নামাজ পড়াতে গেলে তিনি নতুন একজন ইমামকে নিয়ে আসে এবং বলেন আপনার আর নামাজ পড়ানোর দরকার নেই। এতে মসজিদ কমিটির সভাপতি বসু মীরসহ সাধারণ মুসল্লিরা বাধা দিলে হাবিবুর রহমান সিকদার, তার ছেলে নুরনবী, ভাগিনা মাইনউদ্দিন হাজী, ভাতিজা বাবলু, সেলিম সিকদারসহ কয়েকজন মিলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে মিম্বার থেকে ফেলে দিয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে মুসল্লিরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে এতে সভাপতি বসু মীরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন, আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

মূল অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান সিকদার মুঠোফোনে জানান, এ ইমাম লোক ভালো না তাই তার পিছনে আমি নামাজ পড়তে চাই না, আর তাই আমি নতুন একজন ইমামকে এনেছি জুম্মার নামাজ পড়ানোর জন্য। এতে মুসুল্লি ও ইমাম সাহেবের সাথে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে, আমাদের সাথে পরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি বসু মীর জানান, মাওলানা রুহুল আমিন প্রায় আড়াই বছর যাবত বুড়িবাড়ী জামে মসজিদে ইমামতি করেন। তিনি মুসুল্লিদের কাছে বেশ জনপ্রিয়, হাবিবুর রহমান সিকদার এর আগে কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেসময় তিনি মসজিদের ব্যাপক জায়গা-জমি, টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করেন। পরে মসজিদের মুসল্লিরা তাকে অব্যাহতি দেন।

এ বিষয় বোরহানউদ্দিন থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান, ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলার রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বাকি আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইএইচ

Link copied!