শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মার্চ ১০, ২০২৪, ১১:১৫ এএম
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মার্চ ১০, ২০২৪, ১১:১৫ এএম
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে পাওনা ৫ লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় কারখানা শ্রমিক আব্দুল্লাহকে (২৬) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে।
শনিবার (০৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাত ৮টায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুল্লাহ গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে। সে স্থানীয় ইউরিনিট স্পিনিং কারখানায় চাকরি করতেন। গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইয়ার মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আব্দুল্লাহর মামা সাইদুল ইসলাম বলেন, বিকেলে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান দেখতে যায় আব্দুল্লাহ। এসময় পূর্বশত্রুতার জেরে এহসানের (১৮) সাথে আব্দুল্লাহর বাকবিতণ্ডা হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে মিলিয়ে দিয়ে দুইজনকে আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে দেয়।
কিছুক্ষণ পর এহসান ও তার বাবা শহিদ (৪৫) আব্দুল্লাহকে জোরপূর্বক মাঠ থেকে ধরে রাস্তার পাশে নিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের সাথে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে আব্দুল্লাহ মারা যায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাওনা আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের বাবা শাহাদত আলী বলেন, শহিদ জমি কিনে দেয়ার কথা বলে প্রায় চার মাস আগে আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। জমি কিনে না দেয়ায় টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি বলে সময় পার করছে। টাকা দেয়ার জন্য চাপ দিলে সে আমাকে ও আমার ছেলে আব্দুল্লাহকে মেওে ফেলার হুমকি দেয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক নাজমুল হুদা বলেন, যুবক আব্দুল্লাহকে তার স্বজনেরা মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এআরএস