বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক আশিক(১৬) হত্যার মূল আসামি জাহাঙ্গীর(৪০) ও তার সহকর্মী আনোয়ার (৩৫) ও লিটন(৩৫)কে গ্রেফতার করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (১১ মার্চ) রাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কোম্পানিগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়। জাহাঙ্গীরের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আনোয়ারকে আমিরাবাজ দাউদকান্দি থেকে এবং ও লিটনকে বুরিচং কুমিল্লার দুবাইরচর থেকে গ্রেপ্তার করে আজ দুপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জাহাঙ্গীর দেবিদ্দার বিংলাবাড়ি এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে, আনোয়ার দাউদকান্দি আমিরাবাজ এলাকার মৃত মো. সেরাজ মিয়ার ছেলে এবং লিটন কুমিল্লা বুরিচং দুবাইচর আব্দুল ওহাবের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিক হত্যার মূল হোতা জাহাঙ্গীর হত্যার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনার পর থেকেই বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার একটি চৌকস টিম আসামিদের আটকের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার (১১`ই মার্চ) রাতে জাহাঙ্গীরকে, ১২`ই মার্চ আনোয়ার এবং লিটনকে প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সে তার অন্যতম সহযোগী আনোয়ার ও লিটনকে নিয়ে আশিককে হত্যা করে তার অটো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের শেখ হাসিনা ওয়াই সেতু সংলগ্ন ভুরভুরিয়া এলাকা থেকে আশিকের অটোরিকশা ভাড়া করে ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওরাটুলি পুকুরপাড় হাত-পা বেঁধে আশিক কে পানিতে ফেলে হত্যা করে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আশিকের পরিবার ফোন বন্ধ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেলে পরদিন শুনতে পায় আশিককে মেরে পুকুরে ফেলে রেখেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২০ জানুয়ারি উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওরাটুলি এলাকার কবরস্থান পুকুর থেকে অটোরিকশা চালক আশিক (১৬) এর হাত পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন পিপিএম বলেন, গত ২০শে জানুয়ারিতে অটো ড্রাইভার আশিক সে নিয়মিত গাড়ি চালায়। সন্ধ্যার দিকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিল না বাসায়ও যাচ্ছিল না, পরদিন পুকুরের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলে আমরা যাই তাৎক্ষণিকভাবে আমরা কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি। গত ১১ ও ১২`মার্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। মূল হোতা জাহাঙ্গীর দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করে। এই ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
এইচআর