কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
দেশি-বিদেশি পোশাকের সমাহার কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের রথখলা ও তেরিপট্টি এলাকায় বিভিন্ন ব্রান্ডশপ ও দোকানগুলোতে। বছরজুড়ে পুরো জেলা থেকে মানুষ এসে এসব মার্কেট থেকে কিনে নেন নিজেদের পছন্দের পণ্য।
ঈদকে কেন্দ্র করে মার্কেটে বাড়ে ক্রেতার ভিড়। তবে এ বছরের চিত্র একটু ভিন্ন। ৫ম রোজা পেরিয়ে গেলেও এখনও জমে ওঠেনি ঈদের বাজার। তাই অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তাদের আশা ১০ রমজানের পর কেনা-বেচা জমে উঠবে।
শুক্রবার রাতে সরেজমিনে জেলা শহরের পোশাক মার্কেট ঘুরে ক্রেতার তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। ছিল না বিক্রেতাদের ব্যস্ততাও। খোশগল্পে মশগুল সময় পার করছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের শেষে শার্ট-প্যান্টের চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে ক্রেতা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পোশাকের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা কারণে সৌখিনতা ও নতুন পোশাকে মানুষের আগ্রহ কমে থাকতে পারে।
বিক্রেতারা জানান, এবার কোনো কোনো পোশাকের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। কাপড়ের মান ভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দরের পাঞ্জাবি রয়েছে। গত বছরের তুলনায় পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে কিছুটা।
পাঞ্জাবি বিক্রেতারা জানান, গত বছর রোজা শুরুর আগে থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছিল। এবার এমনটা হয়নি। হয়ত মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়।
বিক্রেতা মনির আমার সংবাদকে বলেন, বেচাকেনা কম। মানুষ এখনও মার্কেটে তেমন আসছে না। তবে ঈদের আগে বাজার জমবে।
একই অবস্থা ছেলেদের কাপড়ের বিভিন্ন ব্রান্ডশপগুলিতে। ক্রেতা নেই বললেই চলে। একই অবস্থা মেয়েদের পোশাকের দোকানেও।
বিক্রেতা রাজন আমার সংবাদকে বলেন, কাপড়ের দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতা কমেছে। নতুন মডেলের জামা এনেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। ১০ রোজার পর ক্রেতা বাড়তে পারে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।
ইএইচ