নেত্রকোণা প্রতিনিধি
মার্চ ১৭, ২০২৪, ১১:২১ এএম
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
মার্চ ১৭, ২০২৪, ১১:২১ এএম
ব্যর্থ প্রেমের প্রতিশোধ নিতেই নেত্রকোণার পূর্বধলায় সোনিয়া আক্তার সুইটিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন করে প্রেমিক এনামুল হক। শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নেত্রকোণা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ফয়েজ আহমেদ।
নেত্রকোণা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকারী এনামুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাকে আদালতেও পাঠানো হয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, সুইটি ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার ঢেউয়াখোলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের মো. সুবহানের মেয়ে। কিন্তু সে পূর্বধলার রাজিবপুরে নানার বাড়িতে বসবাস করতেন।
এসময় একই উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের বনপাড়া মালবাড়ী গ্রামের মৃত মঞ্জুল হক’র ছেলে এনামুল’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। ভালোই যাচ্ছিল তাদের সম্পর্ক কিন্তু হঠাৎ প্রবাসী শরিফুল নামের এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং পারিবারিকভাবে প্রবাসী শরিফুল’র সাথে বিয়ের কথাও পাকাপোক্ত হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে মেনে নিতে পারেননি প্রথম প্রেমিক এনামুল। হয়ে ওঠে সে প্রতিশোধ পরায়ণ। শনিবার (০৯ মার্চ) দিনগত রাতে মোবাইল ফোনে সুইটিকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেন এনামুল এবং তাকে রাতের আঁধারে রাজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
মৃত্যু নিশ্চিত করার পর এনামুল সুইটি’র মরদেহটি নানার বাড়ির ঘরের বারান্দায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে চলে যান। পরে দিনে মরদেহটি সকলের নজরে এলে খবর পেয়ে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন সুইটির বাবা মো. সুবহান অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামকে ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এনামুলকে জড়িত সন্দেহে আটক করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এআরএস