পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
মার্চ ২০, ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
মার্চ ২০, ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের জনসাধারণের পারাপারের জন্য একমাত্র মাধ্যম ফাঁশিয়াখালী-রাজাখালী সংযোগ সেতু। গত এক মাস আগে সেতুর মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। এতে করে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহন। চার চাকার গাড়ি একেবারে বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৪ সালের টইটং খালের ওপর নির্মিত হয় সেতুটি। বারবাকিয়া ইউপির ফাঁশিয়াখালী জালিয়াকাটা ও রাজাখালী ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেন। ৩০ মিটারের দৈর্ঘ্য সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির খসে পড়া ঢালাইয়ে জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছর ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সেতুর পশ্চিমপাশে মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল থমকে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের অন্তত ২০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
বারবাকিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুল করিম বলেন, প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও শত শত গাড়ি পার হচ্ছে এ সেতু দিয়ে। চরম ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে মানুষ। এছাড়া প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী এ সেতু দিয়ে পারাপার করছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন তিনি। কর্তৃপক্ষের এখনো টনক নড়েনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহামুদ জানান, সেতুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অর্থায়ন সাপেক্ষে কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
ইএইচ