Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রাজবাড়ীর দেড়শ বছরের পুরোনো মন্দির রক্ষার দাবি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

মার্চ ২২, ২০২৪, ০৫:১০ পিএম


রাজবাড়ীর দেড়শ বছরের পুরোনো মন্দির রক্ষার দাবি

রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের ডিকে সাহার বাড়িতে অবস্থিত দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরাতন দুর্গা মন্দির। এ স্থানটিতে বিভিন্ন স্থান থেকে  নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এখনো মন্দিরটি দেখতে ছুটে আসেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় একটি মহল মন্দিরটির পাশ থেকে মাটি কেটে বিক্রির পাঁয়তারা করছেন।

জেলা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে এ স্থান থেকে মাটি কাটার অনুমোদনও বাগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু মাটি কাটা হলে একদিকে মন্দিরটির যেমনি অস্তিত্ব বিলীন হবে, তেমনি এ মন্দিরের পাশে বসবাসরত পরিবারগুলো হুমকিতে পরবেন।

মন্দির রক্ষায় স্থানীয় মন্দির সংলগ্ন জমির মালিক মো. ইব্রাহিম সর্দার মাটি কাটার অনুমোদন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।

বুধবার সরেজমিনে জেলা প্রশাসন থেকে মন্দিরের স্থান পরিদর্শন করার জন্য চার জন এসে পরিদর্শন করেছেন।

এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সদুত্তর পায়নি স্থানীয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়েছেন বলে জানায় তারা। এ মন্দিরসহ  আশেপাশের ডিকে সাহার বাড়ি এ স্থানটিতে ২ একর ৬৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মধ্যে ইব্রাহিম সরদারের ৭৭ শতাংশ ও নারায়ণ কুমার সাহা (নারু বাবু) ৪৪ শতাংশসহ মোট এক একর ৩৩ শতাংশ জমি রয়েছে। বাকি ১ একর ৩২ শতাংশ জমি সামসুদ্দীন খান হিরু ওই বাবুদের সন্তানদের (সুধীর কুমার বাবু) কাছ থেকে ক্রয় করেন।

এ জমিটির এসএ খতিয়ান ৩৯৫ দাগ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মন্দিরসহ এ জমির আশপাশের জমি খনন করে মাটি বিক্রি করার জন্য সেখান থেকে মন্দিরটি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছেন। মন্দিরটিতে সব সময় সর্বজনের পূজা অর্চনা করেন স্থানীয়রা। তবে দুর্গা পূজাটি বড় করে জাঁকজমকপূর্ণ করে এখানে অনুষ্ঠিত হয়।

জমির একাংশের মালিক ইব্রাহিম সর্দার বলেন, এখানে তার ক্রয় করা সম্পত্তি রয়েছে। এ ছাড়াও বাকি অর্ধেক অংশ সম্পত্তির মালিক হিরু মেম্বার যে জমিটি ক্রয় করেছেন, সে জমিটিতে তিনি কোর্টে পিয়েনশন মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। কেন চলমান মামলার স্থান থেকে কেউ মাটি কাটতে পারে না। তাছাড়া এখানে দেড়শো বছরের ঐতিহ্যবাহী একটি দুর্গা মন্দির রয়েছে। এ মন্দিরটি মাটি কাটার ফলে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হবে। তাই তিনি প্রশাসনের কাছে মন্দির রক্ষায় মাটি কাটার অনুমোদন বন্ধ রাখতে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মন্দির সংলগ্ন ও স্থানীয় পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক নারায়ণ কুমার সাহা (নারু বাবু) বলেন, তাদের পুরাতন ঐতিহ্যের এ মন্দিরটি রক্ষায় প্রশাসনের কাছে মাটি কাটার অনুমোদন বন্ধ রাখতে অবহিত করেছেন। তারা আশা করেন মন্দিরটি রক্ষায় প্রশাসন মাটি কাটার অনুমোদন বন্ধ করবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, এ মন্দিরটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূজা-অর্চনা করে। এর পাশে পুকুর খনন করলে এ মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে যাবে।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ উঠায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ

Link copied!