Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের ভল্টের পাঁচ কোটি ২২ লাখ টাকা উধাও

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম


বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের ভল্টের পাঁচ কোটি ২২ লাখ টাকা উধাও

জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ব্যাংকের ক্যাশভোল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার হদিস নেই। টাকা উধাওয়ের ঘটনায় এরই মধ্যে তদন্ত টিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

টাকার অনুসন্ধানে কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে এঘটনায় রোববার রাতে তামাই শাখার ব্যাংক ম্যানেজারসহ আরও দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখা হইতে ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিন (৪২) সিরাজগঞ্জ ধানবান্দি পৌর এলাকার মো. হারান শেখের ছেলে, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) বগুড়া ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে, ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম (৩১) সিরাজগঞ্জ বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে।

জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়,  জনতা ব্যাংক তামাই শাখা ক্যাশ লেনদেনে সন্দেহ পরিলক্ষিত হলে গত রোববার তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের সমস্ত কিছু অডিট শেষে দেখতে পান ক্যাশভোল্টে পাঁচ কোটি বাইশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হিসাব গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে রাতে পুলিশ তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেনের সেই কারণে অভিযোগ পত্রটি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগসহ তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আমাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। যেহেতু এটি ব্যাংকিং অর্থনৈতিক হিসাব তাই বিষয়টি দুদুকে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।

এদিকে সরেজমিনে সোমবার সকালে তামাই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন করে এখানে দায়িত্ব নিয়েছেন কামরুল হাসান। এ সময় দেখা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্ত টিম তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুই তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক।

তামাই জনতা ব্যাংক পিএলসির নতুন শাখা ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী অফিসের বিভিন্ন কর্তারা কাজ করছে। তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।

তদন্ত টিমের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঠিক কত টাকার ঝামেলা রয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। আমরা অত্যন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। টাকা সরানো হয়েছে কি না বা হিসাবের কোথাও ভুল হয়েছে তা ক্ষতি দেখা হচ্ছে। বিষয়টি ঠিক কতদিন ধরে হয়ে আসছে সেটাও এখন দেখার বিষয়।

ইএইচ

Link copied!