আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ
মার্চ ২৭, ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ
মার্চ ২৭, ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
প্রতিবছরই আগাম বন্যায় জমির ফসল সঠিক সময়ে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তাই এবার কিশোরগঞ্জের হাওরে আগাম বন্যার পানি থেকে বোরো ধান রক্ষায় ১৪১ কিমি. ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ ৯টি উপজেলায় এসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আগের বাঁধগুলো সংস্কারের পাশাপাশি নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে হাওরের কৃষক পরিবারগুলো।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক হাওর অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ/মেরামত কাজ বাস্তবায়নের জন্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কাবিটা নীতিমালা -২০২৩ মোতাবেক বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
জেলার ৯টি উপজেলায় ১২৪ টি পিআইসির মাধ্যমে ১৯ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪১ কিমি. বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে কাজের অগ্রগতি ও মান পরিদর্শনের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে পিআইসি সমূহের কাজ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান হাওরে বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনকালে কাজের অগ্রগতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে এলাকার সুবিধাভোগী কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় এলাকার লোকজন বাঁধ নির্মাণ কাজের মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং চলতি বছরের আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষায় পিআইসি কর্তৃক নির্মিত বাঁধসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বাঁধের কারণে তাদের চলতি বছরের বোরো ফসল নির্বিঘ্নে ঘরে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন হাওরের কৃষকেরা।
বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান কৃষকরা ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক বাঁধসমূহের প্রতি নজর রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং কাজের মান ও অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধ নির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন। বাধঁগুলো নির্মাণে তদারকি সহ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।
এআরএস