পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
মার্চ ২৮, ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
মার্চ ২৮, ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
উত্তরা ব্যাংকের দুই কোটি ৫ লাখ টাকার ঋণ মওকুফের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে আদালত থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-৮ এ আত্মসমর্পণ করলে বিচারক আরফাতুল রাকিব তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মো. রফিকুল ইসলাম রেনু পলাতক থাকায় এর আগে একই আদালত থেকে গত ৪ঠা জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু পৌরসভার মরুরা এলাকার মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডের কাছে ঋণের ২ কোটি ৫ লাখ টাকা পায়। পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেনু এই ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন।
এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের বরাতে তার জাল স্বাক্ষরে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের এমডি বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মশিউর রহমানের স্থলে ডা. মশিউর রহমান লিখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তাই চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। সেখানে প্রমাণিত হয় ওই চিঠি ড. মশিউর রহমান ইস্যু করেননি।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ২৬শে এপ্রিল রাজধানীর বংশাল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অন্য অভিযুক্তরা হলেন, মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেড পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক আমজাদ হোসেন ও মনোয়ার হোসেন।
২০১৫ সালের ১১ই জুন মামলাটিতে অপর আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে কেবল মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত রফিকুল ইসলাম রেনুকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এআরএস