Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো’

জেলা প্রতিনিধি

জেলা প্রতিনিধি

মার্চ ২৮, ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম


‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো’

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, এইটুক অন্যায় করবো, আর করবো না। নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি তুলবো, যেভাবে হোক এটা আমি তুলবো।

গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দেইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দেইনি। আমার ৫ বছরের বেতন-ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি তুলবো, যেভাবেই হোক এটা আমি তুলবো। এইটুক অন্যায় করবো, আর করবো না।

তিনি বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নাই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব।

এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেব অসুবিধা নাই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেব।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শারমিন আখতার বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। উনার বক্তব্যে (সংসদ সদস্য) উনি বলেছেন, এটাতে আমার কোনো কথা নেই।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি তো তা বলিনি। আমি বলেছি, মানুষের তো নির্বাচনে খরচ হয়। সেই খরচের কথা এমনিতে যুক্তি হিসেবে বলেছি। আমি মানুষের উন্নয়নে, কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে জয় লাভ করেন তিনি।

এ বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। তার (সংসদ সদস্যের) এমন বক্তব্যে তার সহকারী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতিতে উৎসাহিত হবেন। এটা একদিকে যেমন পরিষ্কারভাবে শপথের লংঘন অন্যদিকে নির্বাচনী বিধিরও লংঘন। নির্বাচনী ব্যয় অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না। সংসদ সদস্যের কাছে গঠনমূলক বক্তব্যেরও প্রত্যাশা করি। 

আরএস

Link copied!