Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪,

থানচিতে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ‘ইস্টার সানডে’ উদযাপন

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

মার্চ ৩১, ২০২৪, ১২:০৫ পিএম


থানচিতে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ‘ইস্টার সানডে’ উদযাপন
ছবি: আমার সংবাদ

আজ ইস্টার সানডে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। ইস্টার সানডে উৎসব উপলক্ষ্যে বান্দরবানের থানচিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বের সাথে একযোগে উৎসবটি পালন করা হয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) সকালে পাহাড়ে ইস্টার সানডে উৎসবের খ্রিষ্টান পাড়া গুলোতে প্রতিটি চার্চের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। থানচিতে ত্রিপুরা, বম, খুমি, ম্রো, খিয়াং সম্প্রদায়ের লোকজন খ্রিষ্ট ধর্ম পালন করে থাকে।

তখনকার প্রধান পুরোহীতেরা ও ধর্ম শিক্ষকেরা যীশুকে গোপনে মেরে ফেলার উপায় খুঁজেছিলেন। এমন সময় ইষ্কারোতিয় যিহুদা ৩০টাকা রৌপ্য বিনিময়ে যীশুকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিলেন। তারপর যীশুকে যিহুদীদের মহাসভার সামনে বিচার করা হলো। তখন সেই সভায় সকলে উঠে যীশুকে রোমীয় প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রধান পুরোহিতেরা ও ধর্ম শিক্ষকেরা সেখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে যীশুকে দোষ দিতে লাগলেন। যীশুর কোন দোষ না পেয়েও প্রধান পুরোহিতদের ও ধর্ম শিক্ষকদের হিংসার মুখে পীলাত তাদের সন্তুষ্ট করতে যীশুকে ক্রুশে মেরে ফেলার অনুমতি দিলেন। পরে সৈন্যরা যীশুকে নিয়ে গিয়ে ক্রুশে দিল। সাথে দোষী অন্য দু‍‍`জনকেও ক্রুশে দেয়া হলো। সেই দিনটা ছিল বিশ্রামবারের আয়োজন দিন। তাই সেইদিন যীশুকে কবর দেয়া হয়। পরে সপ্তম দিন বিশ্রামবারের অবসান হলে, সপ্তাহ প্রথম দিনের ভোর বেলায় অন্ধকার থাকতেই যিশু কবর হতে জীবিত হয়ে উঠলেন। তাই আজ যিশু জীবিত হয়ে উঠার আনন্দের খ্রিষ্ট ভক্তরা ইস্টার সানডে উৎসবের আনন্দের মেটে উঠেন।

পুণ্য বৃহস্পতিবার হতে শুরু হয়ে পুণ্য শনিবার মধ্য রাত পর্যন্ত পাপ স্বীকার, উপবাস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার ‘ইস্টার সানডে’ ভোর বেলায় অন্ধকার থাকতেই ত্রাণকর্তা যিশু খ্রিষ্ট কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। মৃত্যু হতে জীবিত হয়ে উঠার আনন্দের মেতে উঠেন খ্রিষ্ট ভক্তরা। একই সঙ্গে ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশ্ব শান্তির কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা সভায় মিলিত হন। যিশু খ্রিষ্ট মৃত্যুর পরে কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠার আনন্দের নেচে গেয়ে ছেলে মেয়ে, তরুণ তরুণী, বৃদ্ধ বৃদ্ধারা আনন্দে শামিল হন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এই এলাকার সবচেয়ে বড় চার্চের মধ্যে রয়েছে নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লী ও শান্তিরাজ ক্যাথলিক ধর্মপল্লী অন্যতম। ইস্টার সানডে কে কেন্দ্র করে ধর্মপল্লী গুলোতে নানান আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবটি পালন করেছে।

নিবেদিতা কুমারী মারিয়া ধর্মপল্লী পাল পুরোহিত, ফাদার হিউবার্ড শীতল রোজারিও সিএইচসি এই প্রতিবেদককে বলেন, পুণ্য বৃহস্পতিবার হতে শুরু হয়ে ইস্টার সানডে ও আগামী পুণ্য সোমবার পর্যন্ত ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে।

এআরএস

Link copied!