চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের স্বীকার ২ মৎস্য কর্মকর্তা

ভোলার মনপুরায় জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের স্বীকার হয়েছেন ২ মৎস্য কর্মকর্তা।

মেঘনায় অভিযানের নামে চাঁদা দাবি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা তাদেরকে গণধোলাই দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গণধোলাইয়ে আহত দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন।

এ ঘটনার জেরে মনপুরা থানায় শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ করেছেন এক বিধবা নারী ।

মঙ্গলবার সকাল ৭টায় উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের ঢাকার লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. মাহামুদুল হাসান জানান, অবরোধকালীন নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। মেঘনা নদীতে পেতে রাখা জালের কাছে গেলে জেলেরা স্পিডবোট যোগে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি ও আমার সহকর্মী ক্ষেত্র সহকারী মনির হোসেন গুরুতর আহত হই। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। উপর মহলের নির্দেশনা মেনে এ ব্যাপারে মনপুরা থানায় অভিযোগ করা হবে।

এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী মনপুরা থানায় এসে দুই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মারুফ হোসেন মিনার জানান, অনুমতিসাপেক্ষে আমাদের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জেলেরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়। এ ব্যাপারে উপর মহলের পরামর্শক্রমে থানায় অভিযোগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১নং মনপুরা ইউনিয়নের জেলেদের সাথে মৎস্য কর্মকর্তাদের মারামারি ঘটনার জেরে এক বিধবা নারী থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকেও অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএইচ