Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

এমপিওর নামে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর প্রতিনিধি

এপ্রিল ৪, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম


এমপিওর নামে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

নাটোরের নলডাঙ্গা মাধনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে কলেজে এমপিও শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেয়ার নাম করে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন (প্রভাষক) পদের শিক্ষক ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক।

এছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অন্যের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজের নামে বেতন উত্তোলন ও সরকারি টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ করেন তিনি।

অধ্যক্ষের প্রতারণার বিষয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নাটোর শহরের একটি অফিস রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। এ সময় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক অধ্যক্ষের চাকুরিচ্যুত, প্রতারণার ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ১৩ বছরের বেতনের টাকা প্রদানের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষকের বোন জামাই ইব্রাহিম হোসেন ও ভাগ্নে মিজানুর রহমান মিজান উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক মোজাম্মেল হকের দেয়া তথ্যমতে, ২০১৩ সালে ওই কলেজে উদ্যোক্তা উন্নয়ন (প্রভাষক) পদে ৭ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়ে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। নিয়োগের পর তিনি জানতে পারেন ওই পদে বেতনের জন্য জিও লেটারের অনুমোদন নেই।

বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানালে জিও হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন। সেই আশায় নিয়মিত কলেজে ক্লাস নেন তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালে জিও অনুমোদন হলে বেতনের বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে শিক্ষকের এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সঠিক নয় বলে জানান। পরে ওই সার্টিফিকেটের জন্য আবারও ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন।

অথচ নিয়োগ দেওয়া হয় অধ্যক্ষের শ্যালিকা বিথীকা সরকারকে। আর ওই শিক্ষককে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন অধ্যক্ষ। ভুক্তভোগী টাকা দিতে অস্বীকার করলে অধ্যক্ষ এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট জাল বলে ও প্রতিষ্ঠানের ২৫ লাখ টাকা ক্ষতি করার কথা বলে শিক্ষকের নামে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বিথীকা সরকার বলেন, আমি ২০০২ সালে অনার্স ও ২০০৩ সালে মাস্টার্স পাস করি। আমার এ পদে ২০০৫ সালে নিয়োগ হয়।  কলেজ ২০১০ সালে এমপিও হয় ও ২০১২ সালে আমার বেতন হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নয়ন চন্দ্র প্রামানিক তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আমার সংবাদকে বলেন, মোজাম্মেলের জাল সনদ ধরা পড়ায় ইউএনও তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এটা আইনের বিষয়। তিনি বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ করছেন। দুদকের মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

ইএইচ

Link copied!