দোহার নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
এপ্রিল ৫, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
দোহার নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
এপ্রিল ৫, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম এলাকার জনমানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ সালের মধ্যে দৃশ্যমান হবে উপজেলার বান্দুরা ও নয়নশ্রী এলাকার ইছামতি নদীর অংশে নির্মাণাধীন এ নান্দনিক সেতুটি। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি টাকা। নির্মাণকাজ করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)।
এলাকাবাসী জানায়, সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এর মাধ্যমে এ উপজেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কৃষিপণ্য পরিবহন সুবিধা আরও সহজ হবে। পাশাপাশি গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে শহরের নাগরিক সুবিধা গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারণ হবে। নবাবগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে এলাকার দারিদ্রতা নিরসনেও ভূমিকা রাখবে সেতুটি।
সেতুটি নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি সূত্র জানায়, ইছামতি নদীর এ অংশে সেতুটি নির্মাণ হলে নবাবগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চলের সাথে নবাবগঞ্জ সদর ও রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হবে। বান্দুরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় যানজট আর থাকবে না।
এছাড়াও নবাবগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বিশেষ করে জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী, শিকারীপারা, নয়নশ্রী ও বান্দুরার সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হবে এই সেতুটি। এছাড়া এ সেতুর মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জের সঙ্গে সড়কপথে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুর কাজ বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২৫ সালের অক্টোবর মাসে সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান নবাবগঞ্জ উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. শামীম হোসেন। যথাসময়ে কাজ শেষ হবে এছাড়া ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে ১৮টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এমনটাও জানান তিনি।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নবাবগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চল তথা জয়কৃষ্ণপুর, বারুয়াখালী, শিকারীপারা, নয়নশ্রী ও বান্দুরার সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হবে এই সেতুটি। কারণ দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের জনসাধারণ এ সেতুটির অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
বিশেষ করে স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলা সদর ও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছতে যানজট ও পরিবহন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
সেতুটি নির্মাণ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না এমনটাই জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আরিফুর রহমান সিকদার।
তিনি বলেন, আমাদের দোহার নবাবগঞ্জকে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলায় রুপান্তর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
বান্দুরার ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, পশ্চিম এলাকার সার্বিক উন্নয়নে এই সেতুটি সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এজন্য আমরা নবাবগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সালমান ফজলুর রহমান এমপিকে ধন্যবাদ জানাই।
ইএইচ