অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
এপ্রিল ৭, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
এপ্রিল ৭, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
ছোটদের নতুন পোশাক কিনে দিলেও অনেক অভিভাবক পুরোনো পোশাকেই করবেন ঈদ উদযাপন। পুরোনো পোশাক ব্যবহারের পূর্বে আয়রন বা ইস্ত্রি করেন সবাই। এবারের ঈদকে সামনে নিয়ে লন্ড্রি ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
রোববার যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ইস্ত্রি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ঈদ আসলে তাদের ব্যস্ততা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পুরাতন কাপড়ের সঙ্গে নতুন নতুন কাপড় ইস্ত্রি করতে হয়। নিজেকে পরিপাটি রাখতে সবথেকে যে জিনিসটি বেশি দরকার তা হচ্ছে পোশাক। আর পোশাক পরিপাটি রাখার অন্যতম উপায় নিয়মিত পরিষ্কার করা ও ইস্ত্রি বা আয়রন মেশিনের সাহায্যে কাপড় ইস্ত্রি করা।
সেই ইস্ত্রি বা আয়রণের কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছে।
অভয়নগর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, পাঞ্জাবী, প্যান্ট, শার্ট জাতীয় কাপড় আয়রন করতে প্রতি পিস ১০ টাকা নেয়া হয়। এছাড়া শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ-ওড়না প্রকারভেদে ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়।
তবে শিশুদের কাপড়ের ক্ষেত্রে আমি মজুরি কম নিয়ে থাকি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, ইস্ত্রি বা আয়রন কাজে জড়িত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মিটার বাণিজ্যিকের পরিবর্তে আবাসিক হলে ক্ষতির পরিমাণ কম হত, মুনাফার পরিমাণ একটু বেশি হত।
উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী রহিমুদ্দিন খান বলেন, এবারের ঈদে কাজের চাপ বেশি। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় ইস্ত্রি করার কাজ বিঘ্ন হচ্ছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে গরম করা ইস্ত্রি ঠান্ডা হয়ে যায়। পুনরায় গরম হওয়ার পর কাজ করতে হয়। যে কারণে এ মাসে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুঃখের বিষয় ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন আমাদের নতুন কাপড় পরার সুযোগ হয় না। কারণ ক্রেতা সাধারণের চাহিদা থাকে ইস্ত্রি করা কাপড় তাদের পড়তেই হবে।
ইএইচ