পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
এপ্রিল ৯, ২০২৪, ০১:২২ পিএম
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
এপ্রিল ৯, ২০২৪, ০১:২২ পিএম
বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে ২২০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটার সদস্যরা। এ সময় তিন পাচারকারীরে আটক করা হয়।
সোমবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে হরিণঘাটা বনে অভিযান চালালে চোরা করবারিরা পালানোর সময় বিষখালী নদী থেকে আটক করে। কোস্টগার্ডের দক্ষিণজোন কন্টিজেন্ট কমান্ডার ফিরোজ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৪৫), আব্দুল হকের ছেলে হারুন (৩৫) ও একই ইউনিয়নের খলিফাহাট এলাকার আব্দুল করিম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫)।
ফিরোজ জামান জানান, সুন্দরবন থেকে হরিণ নিয়ে বিষখালি নদী দিয়ে পাথরঘাটায় আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিনঘাটা বনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিষয়টি চোরাকারবারীরা টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে হরিণঘাটা বনের দক্ষিণের বিষখালী নদী থেকে আটক করা হয়। এ সময় দুজন পালিয়ে গেলেও ট্রলার তল্লাশি করে হরিণের তিনটি মাথা ও ২২০ কেজি হরিণের মাংসসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে মাংসগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক আফজাল হোসেন জানান, গত পাঁচ দিন আগে পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারের জন্য যান তারা। পরপর দুদিন মাছ না পেয়ে মাঝি আবুল বাশারের নির্দেশে সুন্দরবন প্রবেশ করে হরিণ শিকার করেন। সেখান থেকে দশটি হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে সোমবার বিকেলে বিষখালি নদী হয়ে পাথরঘাটার দিকে আসে তারা।
কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে রশিদ শিকদারের ছেলে আবুল বাসার মাঝি ও সাহাদাত হোসেন পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে আটককৃত হরিন হরিণ শিকারীকে পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং হরিনের মাংস সহ সকল আলামত পরবর্তী আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বন বিভাগের নিকট হস্তান্ত করা হয়।
সন্ধ্যার পর বন বিভাগ ও পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডলের উপস্থিতিতে হরিণের মাংসে কেরোসিন দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়।
বিআরইউ