দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি, এটা নতুন কিছু নয়, হরহামেশাই এটি দেখা যায় দেশের আনাচে-কানাচের বাজারগুলোতে। এমন চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষজন।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হোসেনাবাদ, তারাগুনিয়া বাজার, থানার মোড়, আল্লারদর্গা বাজারে রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করার বিষয়টি জানা গেছে।
হাতির পিঠে বসা এক যুবক। এ-দোকান ও-দোকান ঘুরছে হাতি। আর হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
শুধু দোকানই নয়। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা।
চাঁদাবাজির এ দৌরাত্ম্য থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অটোরিকশা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে চিৎকার দেয়। তখন দোকানদার ও গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী সবুজ আলী। বলেন, কয়েকদিন পরপর হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে আসে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আনারুল ইসলাম নামের এক অটোরিকশাচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় প্রায় সময়ই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দেয়। টাকা না দিলে সামনে থেকে সরে না। তখন ভয়ে বাধ্য হয়েই টাকা দিয়ে দেই।
হাতির পিঠে বসা যুবকের কাছে নাম পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নাম ফারুক। তিনি হাতি নিয়ে খুলনা এলাকা থেকে এসেছেন। হাতি নিয়ে এভাবে কেন টাকা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা না নিলে হাতিকে খাওয়াব কি।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওবায়দুল্লাহ বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে তাদের পুনর্বাসনের জন্য বন বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ