কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আজহারুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
ঘটনার পরপরই দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার ভোরে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি কলারোয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন জানান, আজহারুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রাম। তার দুই স্ত্রী, বড় স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন এবং ছোট স্ত্রীর নাম ঝর্ণা খাতুন। আজহারুল ইসলাম বিগত ৪ মাস এই গ্রামে ভাড়া থাকতেন।
শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয়রা আজহারুলের ঘর থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পায়। খবর পেয়ে আমি চৌকিদার নিয়ে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তাদের ঘরে ঢুকে দেখি তারা দুজনেই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। পরে কলারোয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
স্থানীয়র জানান, দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনের সাথে স্বামী আজারুলের নানা সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে কম সময় দিত। সে কারণে ঝর্ণা খাতুন রাগ এবং ক্ষোভে রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে অচেতন করে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে এবং অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঝর্ণা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আজহারুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ইএইচ