Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কিশোরগঞ্জে পিডিবির সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম


কিশোরগঞ্জে পিডিবির সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জে পিডিবির কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, অসম্পূর্ণ অনুসন্ধান, শব্দের ভুল চয়ন ও মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে স্থানীয় একটি মাসিক পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কিশোরগঞ্জ পিডিবির কর্মচারীরা।

রোববার দুপুরে জেলা শহরের স্থানীয় একটি মিডিয়া অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ফিডার বি পদে কর্মরত শেখ আশরাফ উদ্দিন হিরণ লিখিত বক্তব্য দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় মাসিক কালের নতুন সংবাদ পত্রিকার অনলাইনে কিশোরগঞ্জে ’পিডিবির অবৈধ গাড়ি চালক উপ-সহকারী প্রকৌশলী অফিসার সেজে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অসম্পূর্ণ অনুসন্ধান, শব্দের ভুল চয়ন, মিথ্যা, মানহানিকর পরিস্থিতি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কিশোরগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ কার্যালয়ের নাম ও অবস্থান জনসাধারণের মাঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করেছে। এ সংবাদ প্রকাশের পূর্বে অভিযুক্তদের কারও সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করা হয়নি এবং বক্তব্য নেয়া হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, প্রকৃত ঘটনা হল গত ৪ এপ্রিল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ বিউবো কিশোরগঞ্জের দপ্তরের আওতাধীন গাইটাল নামাপাড়া এলাকায় অফিসের আদেশে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকালীন সময় মো. হারুন মিয়া নামে একজন গ্রাহকের একটি বিদ্যুৎ সংযোগ বিদ্যুৎ অফিসকে ফাঁকি দিয়ে তার নিজ উদ্যোগে অবৈধভাবে আবাসিক সংযোগের মিটারটি টেম্পারিং ও মিটারের ডিসপ্লে পরিবর্তনসহ ১৫টি অটোচার্জিং পয়েন্ট করে অটোরিকশা ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন তৈরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও আইন পরিপন্থি। সে সময় তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগটি এ ফিডারের সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনের নির্দেশে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে ১টি টেম্পারিং মিটার ও ৫ ফুট সার্ভিস তার জব্দ করে অফিসে জমা দেয়া হয়।

পরে তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলীর উদ্যোগে ৩২ (১) এবং ৩৩ (১), ৩৮ (গ) ধারায় সহকারী প্রকৌশলী বাদী হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) বিদ্যুৎ আদালত, ময়মনসিংহে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ঘটনার দিন গ্রাহককে থ্রি ফেইজ একটি বৈধ মিটার সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হলে তিনি মিটার স্থাপনের খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে মিটার স্থাপন বাবদ আনুমানিক ৪০-৫০ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে জানায়। পরে তাকে অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হলে এই কথাকে কুচক্রী মহলের যোগসাজশে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিবেদনে অপবাদ প্রকাশ করা হয়। যা সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মানহানিকর প্রতিবেদন। এ প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ পিডিবির উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী জিয়াউর রহমান, অস্থায়ী গাড়ি চালক পল্লব আহমেদ।

ইএইচ

Link copied!