Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

তাপপ্রবাহ-লোডশেডিং থেকে প্রশান্তি খুঁজছে পাকুন্দিয়াবাসি

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১১:৪৭ এএম


তাপপ্রবাহ-লোডশেডিং থেকে প্রশান্তি খুঁজছে পাকুন্দিয়াবাসি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা তীব্র তাপমাত্রার পাশাপাশি লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ  গরমে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো একটু প্রশান্তির ছোঁয়া খুঁজতে আশ্রয় নিচ্ছে গাছের ছায়ায়। উপজেলায় চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে লাখো মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। দিনের চেয়ে রাতে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। দিনে সূর্যের তেজ আর রাতে ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলাবাসী। তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুর হলেই যেন আগুনের ফুলকী বইতে শুরু করে।

সকাল ৮টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রকৃতির এমন আচরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত। একটু স্বস্তি পেতে পুকুরে বা বিভিন্ন জলাধারে নেমে দীর্ঘ সময় গোসল করছেন অনেকে।

পাকুন্দিয়া পৌরসদরের আশরাফ এরশাদ মিয়া, মন্টু  তারা  বলেন, দিনের তাপমাত্রা গরমে তো আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। দিনে তো যেমন তেমন, রাতের বেশিরভাগ সময়ে তো বিদ্যুৎ থাকেই না। এখন এমন অবস্থা যে, বিদ্যুৎ থাকা না থাকা   সমান কথা। শিশুদের রোগ-জীবাণু আক্রমণের বাড়ছে।

২৪ ঘণ্টা মধ্যে ১ ঘণ্টা  বিদ্যুৎ থাকছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। পাকুন্দিয়া  বিদ্যুৎ অফিস  ডিজি এম বলেন, এক দিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ অপরদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় জাতীয় গ্রিড থেকেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে বর্তমানে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে। তবে আমরা মানুষের ভোগান্তি দূর করার চেষ্টা করছি। কয়েকদিন ধরে  গরমের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অসহনীয় হয়ে উঠেছে উপজেলা জনজীবন।

বিশেষ করে পাকুন্দিয়া  উপজেলার সদর, পুলেরঘাট উপশহর, মঠোখলা বাজার, মির্জাপুর,কোদালিয়া, শিমুলিয়া সহ প্রত্যন্ত গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র  এক থেকে দেড়ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে। বাকি সময়ে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা এলাকার বাসিন্দাদের। তবে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলছে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় এই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে আবহাওয়া কিছুটা শীতল হলে চাহিদা কমবে এবং লোডশেডিংয়ের মাত্রাও কমে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের দাবি, উপজেলা সদরে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকলেও, অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন না দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

বিআরইউ

Link copied!