কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর লাহিনীপাড়া থেকে বাধবাজার পর্যন্ত জিকে ক্যানেলের ধারে রোপনকৃত ৩ হাজার গাছ কাটা থেকে অবশেষে সাময়িকভাবে পিছু হটলো সামাজিক বন বিভাগ।
পত্র পত্রিকায় গাছ কাটার সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয়রাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা গাছ না কাটার দাবি তোলেন। সেই সাথে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও সরব ভূমিকা পালন করেন।
এতে চাপের মুখে সমায়িকভাবে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বন বিভাগ। তবে টেন্ডার হওয়ার পর গাছ কাটা স্থগিত করার সুযোগ নেই। তীব্র তাপপ্রাবাহের পর পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র।
বলেন, এটা সমাজিক বনায়নের অংশ। টেন্ডার ও ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর স্থগিত করার ক্ষমতা আমাদের নেই। বর্তমানে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের করণে আপাতত গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে নেয়া হবে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গাছ কাটার পর সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুনরায় গাছ লাগানো হবে। তবে এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি পরিবেশ গবেষকরা।
গবেষক গৌতম কুমার রায় মনে করেন সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে দীর্ঘমেয়াদি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তরিকুল হক তারিক বলেন, গাছ কাটার বা বিক্রির পাঁচ বছর আগে থেকে নতুন গাছ রোপণের পরিকল্পনা নিতে হবে।
জানা গেছে, কুমারখালীর লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত পাউবোর জিকে খাল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। সড়কে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর পূর্বে কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছিল উপজেলা বনবিভাগ। দরপত্রের মাধ্যমে ২০২৩ সালে যদুবয়রা থেকে সান্দিয়ারা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার গাছ কাটা হয়েছে। চলতি বছরেও ওই সড়কের লাহিনীপাড়া থেকে বাঁধবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটা হয়েছে।
ইএইচ