Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ফরিদগঞ্জে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই শিশু ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম


ফরিদগঞ্জে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই শিশু ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ফরিদগঞ্জে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ৬ বছরের দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পৃথক স্থানে দুই ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুদের মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নে বুধবার সকালে ও গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় এরই মধ্যে আব্দুল হাইকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের নানার বাড়িতে বুধবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করছিল ৬ বছর বয়সী শিশু। এ সময় সুযোগ পেয়ে শিশুটির আত্মীয় সম্পর্কের এক নানা আব্দুল হাই (৬০) সুযোগ পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে মা বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত আব্দুল হাইকে আটক করে জরুরি সেবা (নম্বরে-৯৯৯-এ) কল দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল হাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুটির মা ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করলে আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।  

এদিকে, একই উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হাঁসা গ্রামের আবুল কালাম (৫৫) বিরুদ্ধে। মা মশার কয়েল কিনতে শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি দোকানে পাঠায়। এ সময় আবুল কালাম সুযোগ বুঝে চকলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।

পরে শিশুটি বাড়িতে আসার পর তার চলাফেরা মায়ের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞেস করলে শিশুটি ঘটনার বর্ণনা করে। পরে শিশুটির মা রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে অভিযুক্ত আবুল কালাম পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, পৃথক পৃথক স্থানে দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনাই দুটি নিয়মিত মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর ঘটনার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ইএইচ

Link copied!