ফরিদপুর প্রতিনিধি
মে ৪, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
ফরিদপুর প্রতিনিধি
মে ৪, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
ফরিদপুরে শিশু খাদ্য ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল এবং রঙ ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস।
ফরিদপুর শহরে এমনই একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন ওই কারখানার মালিক। এ সময় জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস। পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি।
শনিবার বিকালে শহরের মাহমুদপুরের ওই বাড়িতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকার ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পাশে মৃত মো. নাছিরুজ্জামানের বাড়ি। বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা-জানালা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের ভিতরে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই চলছিল বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে জুস তৈরি। এ সময় একই বাড়িতে অন্য ঘরে অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করায় একটি কারখানও পাওয়া যায়। সেখানে তাদের ল্যাবসহ রয়েছে বোতলাজাত ও প্যাকেজিংয়ের ব্যবস্থা।
অভিযান চলাকালে দেখা যায়, কারখানাটিতে কয়েকজন নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন। নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস। জুসের বোতলে বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির লেভেল লাগানো হচ্ছে। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক এ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ওষুধও বোতলজাত করা হচ্ছে।
কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে আসেন রাতে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন।
তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মো. লিটন মিয়া। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে আদালত।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়।
আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন ফরিদপুর জেলা এনএসআই উপ-পরিচালক তৈয়েবুল মাওলা, এনএসআই ফিল্ড অফিসার মো. আনোয়ারুজ্জামান, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বজলুর রশিদ এবং পুলিশের একটি টিম।
ইএইচ