কামারখন্দ, (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
মে ১১, ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
কামারখন্দ, (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
মে ১১, ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
ভিনদেশি স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ী ফিরলেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী সিরাজগঞ্জ কামারখন্দের ছেলে রেজাউল করিম। নব দম্পতি ও হেলিকপ্টার দেখতে চারপাশে উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
১১মে (শনিবার) দুপুর ঠিক ১২টায় ভিনদেশি স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর প্রবাসী হেলিকপ্টারটি সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ কর্ণসুতি দক্ষিণ পাড়া ইদগাহ মাঠে অবতরণ করে। কাছে থেকে হেলিকপ্টার দেখতে আগে থেকেই উৎসুক জনতাকে অপেক্ষা করতে দেখা যায় সেখানে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল করিম ভিনদেশি তরুণীকে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়ি আসার স্বপ্ন থেকেই এ উদ্যোগের কথা বলেন। বিদেশি নববধূকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সবাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের কর্ণসূতি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মুকুল হোসেন ও মোছা. তারা ভানু বেগমের ছেলে ছোট ছেলে রেজাউল করিম। প্রায় ১৭ বছরে আগে কর্মের সন্ধানে পাড়ি জমান ।
এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয় তারা জানান, কখনও সরাসরি হেলিকপ্টার দেখার সৌভাগ্য হয়নি। শনিবার আমাদের এলাকার সন্তান এ সুযোগ করে দিয়েছে। তাই আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে হেলিকপ্টার ও নববধূকে দেখতে এসেছি।
নাজমা নামে এক নারী বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনছি মৃত মুকুল হোসেনের ছেলে এলাকায় বিদেশি বউ হেলিকপ্টারে আসবেন। সে জন্য তাদের বাড়ি ঘর সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছে।
এসময়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামাল ফেরদৌস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজ আমাদের অনেক ভালো লাগছে। কারণ আমাদের এলাকার ছেলে ভাতিজা রেজাউল করিম বিদেশ থেকে হেলিকপ্টারে ফিরেছেন, সঙ্গে নতুন বিদেশি বউ নিয়ে এসেছেন। তাদের দেখে আমরা সবাই খুবই আনন্দিত। এছাড়া হেলিকপ্টার দেখার স্বপ্নও আমাদের পূরণ হয়েছে।
রেজাউল করিমের বড় ভাই মানিক প্রামানিক বলেন, আমি যখন দেশের বাহিরে ছিলাম তখন থেকে আমার ছোট ভাই সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন ধরে থাকছে। সে সেখানে পড়াশোনা শেষ করে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে। সে সেখানে বিয়ে করে নতুন বউকে নিয়ে এবার প্রথম নিজ দেশে এসেছে। তার ইচ্ছা ছিল নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসবে। তাই তাদের আসার পর আমরা তাদের বরণ করে নিয়েছি।
প্রবাসী রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘসময় ধরে সিঙ্গাপুরে থাকছি। আমার স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে আসা। সেই স্বপ্ন থেকে আজ নিজ জন্মভূমিতে ফিরেছি। খুব ভালো লাগছে, আমাদের বরণ করে নিতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষ এসেছে। এতে আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই খুব খুশি।
বিআরইউ