Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক: ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

মে ১১, ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম


নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক: ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় পর্যাপ্ত লোকবল সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও পূর্বের সুযোগ-সুবিধাই মিলছে না বলছেন রোগীরা।

এদিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় উন্নত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রোগীদের।

রোগী ও স্বজনরা বলছেন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি থেকে শুরু করে এক্সরে করার সেবা মেলে না ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে। ফলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এসব করাতে হয়। ডিজিটাল এক্সরে মেশিন থাকলেও তা পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে দক্ষতা সম্পন্ন অপারেটর না থাকায়। এছাড়াও কাজে লাগছে না অ্যাম্বুলেন্স সেবা। অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা প্রদানসহ আউট ডোর সেবায় নেই পর্যাপ্ত জনবল।

জানা গেছে, ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যা  হাসপাতাল হিসেবে ১৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা হাসপাতালটিতে। তবে বর্তমানে ১১ জন চিকিৎসক দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা। ২৫ জন নার্সের বিপরীতে ১০ জন নার্স আছেন হাসপাতালটিতে। এছাড়া হাসপাতালটিতে ৫ জন ক্লিনার থাকার কথা থাকলেও সেখানে নেই কোন লোকবল।

এক্সরে অপারেটরসহ প্রতিটি সেক্টরে জনবল সংকটে এক প্রকার নাজুক অবস্থায় পতিত হয়েছে হাসপাতালটি। এতে তিস্তাবেষ্টিত উপজেলাটির ১২টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ব্যাহত হওয়ায় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে বা দূরে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়ছেন বিশাল এই জনগোষ্ঠী। ফলে দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালটির সকল সংকট নিরসনের দাবি স্থানীয়দের।

সিঙ্গীমারী থেকে আসা সিরাজুল নামে একজন বলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে মেশিন, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ সব ধরনের ব্যবস্থা থাকলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত জনবল নিয়োগ দিয়ে সংকট নিরসনের দাবি জানান তিনি।

আসমা বেগম নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালের চারিদিকে ময়লা। ১০ বার ডাকলেও কোনো নার্স আসে না। ডাক্তার তো ওই সকালে এসেছে আর নাই৷

জানতে চাইলে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনারুল হক বলেন, ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠির মাধ্যমে অবগত করেছি, আমাদের ঊর্ধ্বতন স্যাররা আশ্বস্ত করেছেন অতি দ্রুত এই সমস্যা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যতদূর সমাধান করা যায় তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

ইএইচ

Link copied!