রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মে ১৩, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মে ১৩, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। এদিন ভোরে নদীতে ভাটার সময়ে হালদা নদীর বিভিন্ন স্পটে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেন।
সোমবার দুপুরে জেয়ারের সময় নদীর বিভিন্ন স্পটে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেন।
গত ৭ মে হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ১ হাজার ৬শত ৬০ কেজি। নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করার পর ডিম সংগ্রহকারীরা রাউজানের মোবারক খীল হ্যাচারি, পশ্চিম বিনাজুরী আইডিএফ এর হ্যাচারি ও হাটহাজারীর চারটি হ্যাচারিসহ নদীর তীরে খনন করা মাটির কুয়ায় ডিম রেখে রেনু ফুটানো হয়।
১ হাজার ৪শত ৬০ কেজি ডিম থেকে ৪২ কেজি রেনু উৎপাদন হয় বলে জানা যায়। প্রতি কেজি রেনু একলাখ ১৫ হাজার টাকা থেকে একলাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
ডিম সংগ্রহকারী নুরুল ইসলাম বলেন, রাউজানের গহিরা মোবারক খীল হ্যাচারি থেকে প্রতি কেজি রেনু একলাখ ১৫ হাজার টাকা দরে ৪শত গ্রাম রেনু ডিম ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন মাছ চাষি রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আলমগীর আলী।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অফিসার ফাখরুজ্জমান বলেন, হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা ডিম থেকে রেনু উৎপাদন করে রেনু বিক্রয় করা হচ্ছে।
কী পরিমাণ রেনু উৎপাদন হয়েছে তা জানতে চাইলে, হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুখজ্জমান বলেন, তা হিসাব করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে তা জানানো হবে।
হালদা গবেষক চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীতে প্রথম ধাপে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। আগামী পূর্ণিমার জোঁতে আবারো প্রবল বর্ষণ ও বজ্রপাত হলে নদীতে পাহাড়ি ঢলের স্রোতের পানি নেমে আসলে ২য় ধাপে আবারো হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ইএইচ