মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
মে ১৩, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
মে ১৩, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
ঝিনাইদহের মহেশপুরে সরকারি রাস্তা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করলেও দখলকারীরা তিন দিনের মধ্যে আবারও সেই রাস্তা দখল করে এবার টিনদিয়ে ঘিরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে । সোমবার(১৩ মে) ভোর রাতেই দখলকারীরা এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
গ্রামবাসীরা জানান, গত ৯ মে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ শাওন শ্যামকুড় ইউনিয়নের টাঙ্গাইল পাড়া গ্রামের একটি সরকারি রাস্তা হতে অবৈধ দখলদারদের নির্মিত টিনশেডের বসতঘর,গোয়ালঘর ও বাঁশঝাড় উচ্ছেদ করেন। এ সময় শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুলহক,উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জুলফিকার আলী, ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মনিরুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া দত্তনগর পুলিশ ফাড়ীর এস আই আশিক এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে আসার তিন দিনের মধ্যে শাহাজান আলী,শরিফুল ইসলাম সোমবার ভোর রাতে রাস্তাটি আবারও দখল করে নিয়ে টিনের বেড়াদিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এই রাস্তা দিয়েই মহেশপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধির বাড়ি প্রবেশ করতে হয়।
এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফ শাওনকে অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে মহেশপুরের ইনকিলাব প্রতিনিধি আবুল হোসেন লিটন জানান,১৯৮০সালের পূর্বে টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামটি বর্তমান স্থানে ছিল না। ১৯৯৮সালে সেটেলমেন্ট জরিপের সময় গ্রামবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শ্যামকুড়ের তৎকালীন তহশিলদার ৩০ধারা মতে ১৪টি ডিপি খতিয়ানের বিরুদ্ধে আপত্তি মামলা দায়ের করেন। বদর আমিন তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে এক সপ্তাহের শুনানি শেষে টাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে ২টি রাস্তা তৈরির রায় দেওয়া হয়। বর্তমানে সেই স্থানে ১২২ফুট লম্বা ছোট রাস্তাটি দখলদাররা নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছেন।
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল পাড়ার বাসীর একটি রাস্তা থেকে দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু দখলদারদের উচ্ছেদের মাত্র তিনদিনের মাথায় তারা রাস্তাটি আবার দখল করে নিয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন জানান, সরকারি রাস্তা কেউ জোর করে দখলে রাখতে পারবেনা। উচ্ছেদের পর যারা রাস্তাটি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএস