Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

দাখিল পরীক্ষার ফলাফল-২০২৪

১২ শিক্ষকের ১০ পরীক্ষার্থী, পাস করল ১ জন

ফেনী জেলা প্রতিনিধি:

ফেনী জেলা প্রতিনিধি:

মে ১৪, ২০২৪, ০২:২২ পিএম


১২ শিক্ষকের ১০ পরীক্ষার্থী, পাস করল ১ জন

ফেনীতে ১২ শিক্ষকের একটি মাদ্রাসায় এবারের  দাখিল পরীক্ষায় ১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে  পাস করেছে মাত্র ১জন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দৈনিক আমার সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করে অত্র মাদ্রাসার সুপার মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে ওই শিক্ষার্থী জিপিএ-২.৫৬ পেয়ে পাস করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের অলাতলী জিন্নুরাইন বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর ১০ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।গত রবিবার প্রকাশিত ফলাফলে তাদের মধ্যে মাত্র ওই একজন ছাত্রী জিপিএ-২.৫৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসাটি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়। এরপর ২০০২ সালে পাঠদানে অনুমতি এবং ২০০৫ সালে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে।তার পরবর্তী প্রত্যেক বছরই দাখিলে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করে আসছিলেন মাদ্রাসাটি ছাত্রীরা।

এবার দাখিল পরীক্ষার এমন ফলাফলে মাদ্রাসাটির শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর মাঝে হতাশা নেমে আসে।বিষয়টি নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে স্থানীয়দের মাঝেও।

এ প্রসঙ্গে মাদ্রাসাটি সাবেক শিক্ষক মো আনোয়ার হোসেন ভূইয়া (বর্তমানে ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের কর্মরত) জানান,মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা নুরুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে অনেক ভালো শিক্ষক বিনা বেতনে বছরের পর বছর এখানে শ্রম বিনিয়োগ করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি কিছুদিন পরপর কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নতুন নতুন শিক্ষক এনে অনেক শিক্ষিত বেকার থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নিজের আখের ঘুচিয়েছেন।

এরইমধ্যে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আদর্শবান শিক্ষকের শূন্যতার কারণে চলতি বছর মাদ্রাসাটির ফলাফলে এমন বিরূপ প্রভাব পড়েছে।  

এব্যাপারে জানতে চাইলে দাগনভূঞা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি ফলাফল কেন এত খারাপ হলো, তা যাচাই-বাছাই করব।

বিআরইউ

Link copied!