Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

তীব্র তাপদাহ: কুড়িগ্রামে জনজীবন অতিষ্ঠ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

মে ২৫, ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম


তীব্র তাপদাহ: কুড়িগ্রামে জনজীবন অতিষ্ঠ

জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদ ও তীব্র গরমে কুড়িগ্রামে জনজীবন অতিষ্ঠ। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের আয় আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এদিকে তীব্র গরমে হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এতো তীব্র গরমের মধ্যেও বাধ্য হয়ে কাজে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরম ও তীব্র তাপদাহের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ও রিকশাচালকরা।

শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরে দেখা যায়, যান চলাচল অনেক কম, রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। শাপলা চত্বর মোড়ে ও কলেজ মোড়ে অটো রিকশা, ভ্যান চালকরা একটু ঠান্ডা বাতাসের জন্য গাছের নিচে বসে সময় কাটাচ্ছেন।

শাপলা মোড়স্থ অটোরিকশা চালক আরাজি পলাশবাড়ি এলাকার সুলতান জানায়- সকাল থেকে এ পর্যন্ত ৩শ টাকা হয়েছে। অতিরিক্ত গরম আর রোদের কারণে মানুষজন কম রাস্তায় চলাচল করছে। সে জন্য ভাড়া কম পাচ্ছি।

অপর একজন কলেজ মোড়ে গাছের নিচে ভ্যান চালক গাড়িতে বসে থাকা তালতলা এলাকার জহুরুল মিয়া (৭০) বলেন, বাহে এবার বৈশাখ মাস চলে গেল কোন বৃষ্টি হলো না। এখন জ্যৈষ্ঠ মাস আম কাঁঠাল পাকার সময় আরও বেশি গরম। রোদে মাথার চান্দি ফাটি যায়। সকালে একটিপ ভাড়া মারি দেড়শ টাকা কামাই করছি আর রোদত যাবার নই।

অন্যদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় বাধ্য হয়ে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীকে গরমে স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, গত কয়েকদিন আগে যে গরম ছিল তার চেয়ে এখন বেশি গরম। কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না রাখায় বাচ্চাদের স্কুলে প্রেরণ করতে হচ্ছে।

ইএইচ

Link copied!