পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
মে ২৬, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
মে ২৬, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
খাগড়াছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট পরা নিশ্চিতের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পেট্রোল পাম্পে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম চালুসহ বিশেষ প্রচারণা অভিযান চালানো হয়েছে।
রোববার দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলা শহরের কে. সি ফিলিং স্টেশনে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।
পরে পেট্রোল পাম্পগুলোতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার সাঁটানোসহ পাম্প কর্তৃপক্ষকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকদের জ্বালানি না দিতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে বিশেষ প্রচারণা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে পুলিশ সুপার নিজে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ ও মোটরসাইকেলে স্টিকার সাঁটানোসহ চালকদের সতর্ক ও হেলমেট পড়া চালকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে চালকদের নিজের সেফটি নিশ্চিত করে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানান।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা পরিষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোটরসাইকেল চালক এবং তার সহযাত্রীকে আবশ্যিকভাবে বিএসটিআই কর্তৃক নির্ধারিত মানের হেলমেট পরিধান করতে হবে। কোন মোটরসাইকেল চালক ও সহযাত্রী হেলমেট ব্যবহার না করলে মোটরসাইকেলে কোন প্রকার জ্বালানি সরবরাহ করা যাবে না।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রতিদিন সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশ হেলমেট ব্যতীত মোটরসাইকেল চালনা করার কারণে নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেল চালকদের মাঝে শতভাগ হেলমেট পরিধান নিশ্চিত করা গেলে এই প্রাণহানি অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। চলতি বছরে বেশ কয়টি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীরা মাথায় গুরুতর আঘাতে মারা গেছে। ওইসব মোটরসাইকেলে আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার থাকলে এ ধরনের ক্ষতি নাও হতে পারতো।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস মো. জসীম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় দেবসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ