কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ২৭, ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ২৭, ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কিশোরগঞ্জে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ঝরছে হালকা থেকে মাঝারি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তীব্র বাতাসে নুইয়ে পড়ছে অনেক গাছপালা।
সোমবার ভোররাত থেকেই এ অবস্থা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ।
এদিকে সকাল ১১টার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, থেমে থেমে আসা দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও মাঝারি কিংবা ভারি বর্ষণ- এমনই চলছিল। রাস্তায় যানবাহন কম দেখা গেছে। রাস্তায় রিকশার উপস্থিতিও অনেক কম। অনেককে ছাতা মাথায় ও ভিজে ভিজে তাদের কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
অবশ্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করার সময় থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের কোথাও তেমন কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে থেমে থেমে বর্ষণের কারণে সোমবার সকাল থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েন কর্মজীবী মানুষ, স্কুলকলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। উপায় না থাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাজে বের হন নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়কে সকাল থেকে যানবাহন চলাচলও কম। ফলে মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।
নিকলী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অভজারভার আক্তার ফারুক জানান, দুপুর ৩টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জে ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩০ থেকে ৩২ কিলোমিটার। এই মুহূর্তে ২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস ছুটছে। এ বৃষ্টিপাত সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ চলবে। তারপর বৃষ্টির পরিমাণ একটু কমে আসতে পারে। বর্তমানে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও তা ভারি থেকে অতিভারি হওয়ার সম্ভাবনাও আছে বলে জানান তিনি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শুরু হওয়া এই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে এবং দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসতে পারে। তবে উপকূলে বাতাসের যেমন গতি থাকে, অতটা থাকবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় কিশোরগঞ্জে কোন প্রস্তুতি নেয়া হয়নি।
ইএইচ