ভোলা প্রতিনিধি
মে ২৭, ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
ভোলা প্রতিনিধি
মে ২৭, ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভোলায় দুই হাজারের অধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা,ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ঘরচাপা ও গাছচাপায় নারী ও শিশু সহ ৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে,জেলা প্রশাসনের সতর্ক অবস্থা এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কারণে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সকালে তাঁদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের মনেজা খাতুন (৫০), বোরহানউদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের জাহাংগীর হোসেন (৫০) ও দৌলতখান উপজেলার পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরের মেয়ে মাইশা (৪)।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিক দের জানান নিহতের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার সাত উপজেলায় পাঁচ হাজার ঘর আংশিক এবং দুই হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে,তবে চুড়ান্তভাবে তালিকা তৈরির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এদিকে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় দিনভর ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বেশি হয়েছে।
এছাড়াও অতি জোয়ারে তলিয়ে গেছে ৩০টিরও বেশি গ্রাম। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
বিকেল ৫ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোলার উপকূলীয় এলাকায় ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাস অব্যাহত ছিল,ঝড়ে বেড়ীবাঁধ ধসে প্লাবিত হয়েছে এবং মেঘনার পানি বিপদ সীমার ১০ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা এবং গতকাল মধ্যরাত থেকে পুরো জেলা বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকায় আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আরএস