ফেনী প্রতিনিধি
মে ২৮, ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
ফেনী প্রতিনিধি
মে ২৮, ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রোববার (২৬ মে) রাত থেকে ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী, দাগনভূঞা ও ফুলগাজী, পরশুরাম এবং ছাগলনাইয়া উপজেলার প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিভিন্ন স্থানে লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এসব বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৬ মে) রাত থেকেই উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ ছিল আসা-যাওয়ার মাঝে। জেলা শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক থাকলেও তারপর থেকে বেশির ভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. শাহীন আলম ও আনোয়ার হোসেন মানিক জানান,মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তাঁদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে ওই উপজেলার অধিকাংশ এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই বলে জানান তাঁরা।
একই পরিস্থিতি সোনাগাজী উপজেলাতেও।ওই উপজেলার গাজী হানিফ ও আবদুর রহিম,ইকবাল হোসেন জানান, বিদ্যুৎসংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় ভূতুড়ে অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন স্থানীয়রা।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, রোববার রাতে ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের বেশ কিছু সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এরপর সোমবার সকাল ৮টা থেকে জেলার প্রায় ৪ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন যায়।মঙ্গলবার ভোর থেকে আবহাওয়া অনুকূলে আসায় সংযোগ সচলের কাজ শুরু করা হয়েছে । বর্তমানে জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬০-৬২ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। বাকী আরও প্রায় দেশ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
অপরদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আ.স.ম. রেজাউন নবী বলেন, তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার ভোর ৫টা থেকে ৩০ হাজারের অধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওইসব লাইনের মেরামত কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে (মঙ্গলবার) পর্যন্ত শতভাগ সংযোগও দেওয়া হয়েছে।
আরএস