Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট অবরুদ্ধ: ৩ জনের জেল-জরিমানা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

জুন ১, ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম


ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট অবরুদ্ধ: ৩ জনের জেল-জরিমানা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তিনজনকে জেল-জরিমানা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান এ রায় দেন।

৭ দিনের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ ও ছাত্রলীগ নেতা ইশাদ আহমেদ মল্লিক। একই অভিযোগে উপজেলা উয়ার্শী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম মল্লিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জানা যায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের সাফর্তা গ্রামের আব্দুল হালিম খান গজনবীর বাড়িতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাহিদুল ইসলাম মনির (কাপ-পিরিচ), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত মিয়া (টিউবওয়েল), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবা শাহরীন (কলস) প্রতীকের নির্বাচনী উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তবে ওই উঠান বৈঠকে কোন প্রার্থীই উপস্থিত ছিলেন না।

বৈঠক শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করা হচ্ছিল এমন সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান ওই বাড়িতে অভিযান করেন। এ সময় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন। এক পর্যায়ে তিনি অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নূরুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং আইন প্রয়োগে বাধা প্রদানকারীদের আটক করেন।

পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই ছাত্রলীগ নেতাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের ঘটনায় ৫ শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী উপজেলা চত্বরে অবস্থান নেন। সেখানে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় উপজেলা প্রশাসন চত্বরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনি আচরণবিধি তদারকিকালে উপজেলার সাফর্তা গ্রামে একটি বাড়ির সামনে লোকসমাগম ও তাদের হাতে খাবারের প্যাকেট দেখতে পান। তাদের গলায় কাপ পিরিচ, টিউবওয়েল ও কলসি প্রতীকের প্লেকার্ড ছিল। উঠান বৈঠকে খাবার পরিবেশন করায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় অভিযান পরিচালনা করলে বাধার সম্মুখীন হই।

ইএইচ

Link copied!