ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
জুন ৯, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
জুন ৯, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় কোরবানির জন্য ১৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে কোরবানির জন্য প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ হাজার পশু সেখানে প্রয়োজনের তুলনায় তিনগুণ পশু প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে উপজেলার পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়- হাটে সারিভাবে দাঁড়িয়ে আছে ছোটবড় দেশি-বিদেশি অসংখ্য গরু। তবে হাটে আসা গরুগুলোর মধ্যে বিদেশি গরুর তুলনায় দেশি গরু কয়েকগুণ বেশি। ক্রেতাদের কাছে ইন্ডিয়ান বলদ ও ফ্রিজিয়ান ষাঁড়ের চেয়ে দেশি ষাঁড়ের চাহিদা অনেক বেশি। গরুর সাইজের উপর নির্ভর করে দাম চাচ্ছে বিক্রেতা। তবে এক থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যে বেশি গরু বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতারা জানান- হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। দাম একটু বেশি হলেও হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকায় আমরা নির্বিঘ্নে কুরবানির পশু কিনতে পারছি।
বিক্রেতারা জানান- গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু লালন-পালনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে এবছর একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। তবে হাটগুলোতে বিদেশি গরুর চেয়ে দেশি গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। সামনের হাটগুলোতে দেশি গরুর পাশাপাশি বিদেশি গরুও বিক্রি হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
গোবিন্দাসী গরুর হাটের ইজারাদার লিটন মন্ডল বলেন- হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশি বিদেশি গরুসহ হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। গোবিন্দাসী গরুর হাটে ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকার গরু-মহিষ রয়েছে। প্রতিটি কুরবানির পশুর হাসিল ধার্য করা হয়েছে এক হাজার টাকা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুকুমার চন্দ্র দাস জানান- এ বছর উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে নয় হাজার গরু ও আট হাজার ছাগল-ভেড়া রয়েছে। যেখানে আমাদের উপজেলায় কুরবানির জন্য প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ হাজার পশু, যা প্রয়োজনের তুলনায় তিনগুণ কুরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। বাকি পশুগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন পশুর হাটে নিয়ে যাওয়া হবে।
ইএইচ