কটিয়াদি (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
জুন ৯, ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
কটিয়াদি (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
জুন ৯, ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে৷ ২৫ দিন ধরে পদটি শূন্য রয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন বোনাস বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সরকারি এক আদেশে একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নতুন যোগদানের আদেশ জারি হলে কটিয়াদী আসার ৩দিন অবস্থানের পর রহস্যজনক কারণে বদলি হয়েছে।
জানা গেছে, গত মে মাসের ১৩ তারিখ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বদলি হন। এরপর থেকেই পদটি খালি রয়েছে৷ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্বে আছেন ডা. মেহেদী হাসান।
গত ২১ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ( প্রশাসন) মো. হারুন আর রশীদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাগেরহাট জেলা থেকে ডা. হিমেল খানকে কটিয়াদীতে বদলি করা হয়। গত ২৫ মে তিনি নতুন কর্মস্থলে আসেন। কিন্তু জেলা সিভিল সার্জন তার যোগদানের পত্র গ্রহণ করেননি৷ পরে পরিচালক প্রশাসন আগের আদেশ সংশোধন করে সুনামগঞ্জের ছাতকে বদলির আদেশ দেন৷ এরপর নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি৷
ডা. হিমেল খান জানান, চিঠি পেয়ে সিভিল সার্জন অফিসে গেলে তার যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়নি৷ মৌখিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়। কথামতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু ৩ দিন পরে সুনামগঞ্জে বদলি করে দেওয়া হয়েছে ৷ কী কারণে হঠাৎ এমন হলো আমার অজানা৷
কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিএইচসিপিরা জানান, সামনে ঈদ, এমতাবস্থায় বেতন-বোনাস না পেলে তাদের পরিবার নিয়ে ঈদ করতে পারবে না৷ সবার চোখে-মুখে এখন হতাশার ছাপ।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে আছেন ডা. মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কেউ বেতন ভাতা তুলতে পারেনি৷ সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে৷ সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে ডা. হিমেলের যোগদানপত্রটি গ্রহণ করা হয়নি৷ আমাকে জানানো হয়েছে আদেশটি সংশোধন করা হবে৷
ইএইচ