community-bank-bangladesh
Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০১ জুলাই, ২০২৪,

নাটোরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর প্রতিনিধি

জুন ১০, ২০২৪, ০৪:০০ পিএম


নাটোরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নাটোরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আর এ উদ্দেশ্যে জেলায় ১৮ হাজার খামারি ও ব্যক্তিগতভাবে ৫ লাখের বেশি পশু কোরবানিযোগ্য করে প্রস্তুত করা হয়েছে।

এ সমস্ত পশু বিক্রয়ের জন্য খামারি ও পশুর মালিকেরা হাটে হাটে নিয়ে যাচ্ছে তাদের পশুগুলিকে। কোরবানির পশুগুলিকে দর্শনধারী করে ভালো দাম পাওয়ার আশায় ভালোভাবে পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার খাওয়াচ্ছেন পশুর মালিকেরা।

নাটোর শহরের তেবাড়িয়াতে রোববারে বসে জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট। এছাড়া বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখাড়া হাট শুক্রবারে, সিংড়া ফেরিঘাটে সোমবার ও বৃহস্পতিবারে, বাগাতিপাড়ার পেড়াবাড়িয়া, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় এবং গোপালপুর উপজেলার মধুবাড়ীতে বসে গরু-ছাগলের হাট।

তাছাড়াও অস্থায়ীভাবে করোটা, গোবিন্দপুর, গুনাইখারা, হাতিয়ান্দহ, জোনাইল হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হবে। ইতোমধ্যে নাটোরের বিভিন্ন হাটে, খামারে এবং অনলাইনে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নাটোর জেলায় ১৮ হাজার ৪৫০টি খামারে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৭টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত মৌসুমে কোরবানির ঈদে ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ২৩৮টি পশু। এ বছর জেলায় ৯৪ হাজার ৬৫৮টি ষাঁড়, ১২ হাজার ৮৫৩টি বলদ, ১৪ হাজার ৩৩৫ টি গাভি, ২ হাজার ১৬৬টি মহিষ, ৩৪ হাজার ১৫০টি ভেড়া, ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬টি ছাগল এবং গাড়ল-দুম্বাসহ অন্যান্য ২৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এর মধ্য নাটোর সদর উপজেলায় ৮৭ হাজার ৪৬০টি, বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৩৭ হাজার ৯২২টি, নলডাঙ্গা উপজেলায় ৫৬ হাজার ১৮৪টি, লালপুর উপজেলায় ৪০ হাজার ৯৮১টি, গুরুদাসপুর উপজেলায় ৯৭ হাজার ৮৮৯টি, সিংড়া উপজেলায় ৯২ হাজার ৫৬৬টি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৬৫ হাজার ২২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে।

তেবাড়িয়া হাটের আবু হানিফ জানান, এ বছর কোরবানির জন্য ৩টি ষাঁড় গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। বর্তমানে বাজার দাম মোটামুটি ভালো আছে। যদি এ দাম থাকে তাহলে গরু প্রতি দেড় থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বছর নাটোর জেলায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৭টি কোরবানির পশু প্রস্তত রাখা হয়েছে। জেলায় কোরবানির চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৫টি পশু সারাদেশে বিক্রির জন্য চলে যাবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। খামারগুলোতে পশুর সঠিক পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসম্মত গোখাদ্য সরবরাহ করেছেন খামারিরা। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পশু উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ বিভাগ সব সময় খামারিদের সুপরামর্শ প্রদান করে থাকে।

ইএইচ

Link copied!