হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
জুন ১১, ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
জুন ১১, ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌর সদরের রেলস্টেশনের দুই পাশে রেলওয়েতে বসে সপ্তাহে দুইদিন গরুর বাজার। প্রতি বৃহস্পতি ও রোববার নিয়মিত এই বাজার বসে থাকে।
এছাড়াও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতিদিন দিবারাত্রি বাজারটি বসছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। ট্রেন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকির পাশাপাশি যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই এই রেললাইনের উপর বসছে বাজারটি।
হাটহাজারী স্টেশন মাস্টারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও বাজার ইজারাদার নিয়মিত বাজারটি পরিচালনা করছে। স্টেশনমাস্টার রেল লাইনের উপর গরুর বাজার বসানোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একটি চিঠি দিয়েছে।
জানা যায়, পৌরসদরের হাটহাজারী স্টেশনের রেললাইন দখল করে বসছে পশুর হাট। রেললাইনের উপর অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু ইজারাদার। বিক্রেতারা সিগন্যাল, রেলের স্লিপার বা পয়েন্টের চাবির সঙ্গে গরু বেঁধে বিক্রি করছেন।
অনেকে পশু নিয়ে রেললাইনের ওপরেই বসে থাকেন। এছাড়া রেললাইনের দুই পাশে বড় শেড নির্মাণ করে গরুর শোরুম করা হয়েছে। ট্রেন এলেই শুরু হয় এদিক সেদিক ছুটোছুটি। এতে করে যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি রেললাইন দখলের কারণে ট্রেন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। গত রোববার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে হাটহাজারীতে আসতে দেখা যায় তেলবাহী একটি ওয়াগণ ট্রেন। ট্রেন আসার সাথে সাথে গরু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করতে দেখা গেছে।
হাটহাজারী রেল স্টেশন এলাকায় প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন ও বাজার কমিটির সমম্বয়ে গরু বেচাকেনার জন্য বাজারটি পরিচালিত হয়। স্টেশন এলাকার বাউন্ডারি ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য নিয়ে আসা গরু রেল লাইনের উপর অবস্থান করে। রেল লাইনে গরুর বাজার বসার জন্য রেল লাইনে দেওয়া পাথরগুলো রেললাইন হতে সরে যাচ্ছে এবং ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেলপথের নিরাপত্তার স্বার্থে গরুর বাজারটি না বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে এক গরু বিক্রেতা বলেন, রেললাইনের উপর পশুর হাট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইজারাদার ও পশুরহাট আয়োজকরা এখানে স্থান দিয়েছেন, ঝুঁকি জেনেও কেউ কিছু বলছেন না। তাছাড়া ট্রেন আসার শব্দ অনেক সময় শোনাও যায় না। এখান থেকে গরু বেচাকেনা সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে তারা দাবি করেন।
হাটহাজারী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার এস এম ফখরুল আলম বলেন, এখানে গরুর বাজার না করার জন্য বার বার নিষেধ করেছি। তাছাড়া রেলওয়ে এলাকায় সব সময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তারপরও গরুর বাজারটি বসানো হয়। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাবরে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, এখনো পর্যন্ত গরুর বাজার বসানোর জন্য কাউকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
ইএইচ