নীলফামারী প্রতিনিধি
জুন ১১, ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
নীলফামারী প্রতিনিধি
জুন ১১, ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
নীলফামারীর ডিমলায় পৈতৃক ও ব্যক্তিগত জমির মালিকানা বহাল ও প্রায় ৭০০ স্থানীয় কৃষকের নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় কয়েক হাজার ভুক্তভোগী কৃষক। মঙ্গলবার (১১জুন)
সকাল ডিমলা উপজেলার কুটির ডাঙ্গা এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে স্থানীয় কৃষকের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ময়েজ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া,
তইবুল ইসলাম, স্বপন মিয়া প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ডিমলা উপজেলার কুটির ডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পচারহাট ও জলঢাকা উপজেলার চিড়াভিজা গোলনা ও খারিজা গোলনা এলাকার নারী পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে খাদ্য চাহিদা পূরণের নিশ্চতায় তিস্তা বাঁধ ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ১৯৬৭-৬৮ সালে হুকুম দখলে(মৌখিক সম্মতি)১০৪.২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে। বুড়ি তিস্তায় পানি মজুদ রাখার জন্য ১৪ টি জল কপাট বিশিষ্ট একটি ব্যারেজ নির্মাণ করে মজুদকৃত পানি খরিপ মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁধের দুই প্রান্তে দুটি ক্যানেল খনন করা হয়। এবং উল্লিখিত মৌজার কৃষি জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে মর্মে কৃষকদের জানানো হয়। অন্যদিকে ফসল নষ্ট বাবদ পাউবো আংশিকভাবে খোনারতের টাকা পরিশোধ করলেও অবশিষ্ট টাকা অদ্যাবধি পরিশোধ করা হয়নি।
পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের দীর্ঘদিন পর ২০১০ ইং সালের ১৭ই মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ৪৯২.৭১ হেক্টর পরিমাণ পৈতৃক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি মেসার্স তুষুকা নামক ঠিকাদারি রিসোর্স লিমিটেডকে ইজারা দেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে পাউবো থেকে ইজারা নিয়ে তুষুকা নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলে। আমরা বাধা প্রদান করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকার গরিব নিরীহ অসহায় ৭০০ কৃষকের নামে দফায় দফায় কয়েকটি হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জমির প্রকৃত মালিকগণ উচ্চ আদালতের স্বরাণাপন্ন হলে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে তাদের কথিত কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়। ফলে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জাতীয় খাদ্য চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএস