নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১২, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১২, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন হত্যাকাণ্ডসহ গুরুতর বিভিন্ন ধারার ১৫ মামলার আসামি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাসুদ রানা এরশাদ। নাকের ডগায় দিব্যি ঘুরে বেড়ানো এই আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশেরও নেই কোনো ভ্রূক্ষেপ। এর আগে দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৬ সালের নভেম্বরে তাকে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর সদর, জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর ও টঙ্গী থানার ১৫টি মামলার অধিকাংশেই চার্জশিটভুক্ত আসামির প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও বিরাজ করছে আতঙ্ক।
স্থানীয়রা বলছেন, জমি, ব্যবসা, খামার দখল হত্যাকাণ্ড ছাড়াও খোদ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছেন এরশাদ। যে কারণে তাকে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। যেকোনো সময় যে কারো সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়তে পারেন তিনি।
জানা গেছে, ১৫ মামলাই নয় শুধু, গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় অর্ধশতাধিক জিডিও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, অটোরিকশা ও সিএনজি চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, ডেভেলপার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় ও ভূমি দস্যুতায় সন্ত্রাস বাহিনীও রয়েছে তার। স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্র জানায়, এতসব অভিযোগের বোঝা মাথায় নিয়েই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আগামী কমিটিতে পদ পেতে দৌড়ঝাঁপও করছেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নানা গুঞ্জনও চলছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের মন্তব্য চেয়ে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে গাজীপুরের জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, মামলা থাকতে পারে। যদি জামিনে থাকে তাহলে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তিনি প্রকাশ্যে থাকতেই পারেন। আর যদি ওয়ারেন্ট থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা ওয়ারেন্ট তামিল করব। ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে অবশ্যই গ্রেপ্তার করব।
আরএস