Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

উঠোন ঝাড়ু দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু!

আমার সংবাদ ডেস্ক:

আমার সংবাদ ডেস্ক:

জুন ১৮, ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম


উঠোন ঝাড়ু দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু!

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই সঙ্গে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন মাহমুদপুর বটতলা এলাকায় বাড়ির উঠোন ঝাড়ু দেওয়ার সময় এই দুর্ঘটনার শিকার হন মা-মেয়ে।

নিহতরা হলেন- মৃত. নুর মিয়ার স্ত্রী নূর বানু (৬০) ও তার মেয়ে বিলকস বেগম (৪০)। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার চরআবাবিল গ্রামে।

এলাকাবাসী জানান, মাহমুদপুর বটতলা এলাকায় গোলাপ মিয়ার বাড়িতে মা-মেয়ে ভাড়া থেকে লোকজনের বাসা বাড়িতে কাজ করে দিনযাপন করেন। আশেপাশে তাদের নিকট আত্মীয়স্বজন থাকলেও কেউ তাদের মা-মেয়ের কোন খোঁজ খবর রাখেন না।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির মালিক গোলাপ মিয়া কুমিল্লায় বসবাস করেন। তবে পুরাতন টুকরো বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তার ফতুল্লার বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বিদ্যুতের তারের লিকেজ থেকে লোহার খুঁটি বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকে। ভোরে বৃদ্ধ মা নূর বানু বাড়ির উঠোন ঝাড়ু দেওয়ার সময় সেই খুঁটিতে ধরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার দেন। এসময় তার মেয়ে বিলকিস বেগম মাকে বাঁচাতে শরীরে স্পর্শ করলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

এতে ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন গিয়ে বিদ্যুতের সংযোগের তার বিচ্ছিন্ন করে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।

বাড়ির মালিকের অবহেলার কারণেই মা-মেয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ করে এলাকাবাসি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বাড়ির মালিককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. রেজাউল এ বিষয়ে বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কয়েকজন এসে জানিয়েছেন তারা মামলা করবে না। এজন্য তারা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চায়। কিন্তু এলাকাবাসি বাড়ির মালিকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ করছে। এজন্য বাড়ির মালিককে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। বিষয়টি আমাদের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম বলেন, ‘নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে মা-মেয়ের লাশ দাফনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া স্থানীয়দের অনেকেই এতে সুপারিশ করেছেন। তাই মানবিক কারণে লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বাড়ির মালিকের অবহেলার বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সে অনুযায়ী পরবর্তীতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিআরইউ

Link copied!