Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

ঈদের পর হোসেনপুরে লাগামহীন সবজির বাজার

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

জুন ১৯, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম


ঈদের পর হোসেনপুরে লাগামহীন সবজির বাজার

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ঈদের পর হঠাৎ করেই স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পরে বৃষ্টির কারণে কৃষকরা জমি থেকে সবজি তুলছেন না। তাই বাজারে আমদানি কমে যাওয়ার সবজিভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। ৫০-৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজিই। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা বাজারে ঢুকে চরম বিপাকে পড়েছেন।

বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন সবজির আড়ত, গোবিন্দপুর চৌরাস্তা বাজার, হোসেনপুর কাঁচা বাজার, গাংগাটিয়া বাজার ও রামপুর বাজারসহ একাধিক বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বাজারের প্রতিটি দোকানেই সবজির সরবরাহ কম। তাই প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, বেগুনের কেজি ৫০-৬০ টাকা, কচুরমুখি ৭০-৭৫ টাকা, পটল ৬০-৬৫ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙা ৬৫-৭০ টাকা, করলা ৮০-৯০, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, শসা ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০-২০০ টাকা,কচুরলতির মুটি ৬০-৮০টাকা এবং পেঁয়াজ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় চরকাউনা সবজি আড়ত থেকে সবজি কিনতে আসা আলমগীর বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই শাক-সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। ঈদের পর সাধারণ মানুষেরা কি খাবে একটু কি চিন্তা করেছেন কেউ? সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচসহ পটল, বেগুন, আলুর দামও অস্বাভাবিক বেড়েছে।

রিকশাচালক লালন বলেন, আমি কাজ করে দিন আনি, দিন খাই। সারাদিন রিকশা চালাইয়া যে ভাড়া পাই, তা দিয়া মাছ কিংবা মাংস কিনার স্বপ্নও দেখি না। কেবল সবজি দিয়া কোনো রকমে সংসার চালাই। এখন বাজার আইয়া ৬০ টাকার কমে কোনো সবজিই কিনতে পারছি না।‍‍`

উপজেলার গোবিন্দপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, ঈদের আগে ও পরে বৃষ্টির কারণে প্রতিটি ক্ষেতেই সবজির উৎপাদন কম গেছে। যার ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে। আমরা কি করবো? কিনতে গেলে সবজিতে বেশি দাম রাখে, তাই আমাদের কেজিতে ৪-৫ টাকা লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে যখন যেমন দামে সবজি কিনে নিয়ে আসি, তখন স্বল্প লাভেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি। এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রি করতেও হচ্ছে একটু বেশি দামে।

তবে বৃষ্টি-বাদল কমে গেলে সপ্তাহখানেক পরে সবজির দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলেও জানান স্থানীয় সবজির আড়তদার সাহাদ হোসেন।

ইএইচ

Link copied!